লখনউ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়িতে পিষে মৃতদের সৎকারে রাজি হল পরিবার৷ একই সঙ্গে মৃতদের পরিবার ময়নাদতন্তের রিপোর্ট ও এফআইআর কপি চেয়েছে৷ কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আলোচনার পর এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ কিন্তু, বন্দুকের গুলিতে মৃতদের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দিল্লির হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁরা মারাত্মক জখম ও মানসিক আঘাত ও মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে মারা গিয়েছে৷
মৃত বছর ১৯ লাভপ্রীত সিংহের বাবা সাতনাম সিংহ বলেন, ‘ গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ প্রশাসন ঘটনা ধামা চাপা দিতে চাইছে প্রশাসন৷
এ দিকে প্রায় ৩০ ঘণ্টা আটক থাকার পর মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে গ্রেফতার করা হল৷ একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে সীতাপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে৷সীতাপুরের অতিথি নিবাসকে অস্থায়ী জেলে পরিণত করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর,তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। শান্তিভঙ্গ, ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনার অভিযোগে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে সীতাপুরের এক অতিথি নিবাসে আটক করে রাখা হয়েছিল৷
লখিমপুরে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে আটক করে পুলিশ৷ এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান কংগ্রেস নেত্রী৷ জানতে চান কেন তাঁকে আটকানো হল? লখিমপুর যেতে দেওয়া না হলে তিনি এক পা-ও সরবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুলিশকে৷