নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে একত্রিত হচ্ছে বিরোধিরা। নিজেদের পুরনো বিবাদ মেটাতে মরিয়া সবপক্ষ। এবার সংসদে তৃণমূলের সৌজন্যে একজোট হলেন কেন্দ্রের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদেরা। স্থির করলেন সবাই একত্রে বয়কট করবেন লোকসভার অধিবেশন।
আরও পড়ুন- ধুতি পাঞ্জাবি পরে রাজ্যসভায় খাঁটি বাঙালি জহরবাবু
বুধবার রাজ্যসভার সমগ্র দিনের অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ছয় সাংসদকে। যার বিরুদ্ধে সকল বিরোধীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সংসদে। সেই সঙ্গে লোকসভা অধিবেশন বয়কট করার কথাও জানিয়ে দেয় বিরোধী শিবির।
আরও পড়ুন- কাঠ চুরি করতে গিয়ে গ্রেফতার মোদী-সরকারের অফিসার
পাশাপাশি একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী সাংসদেরা। সেখানে বলা হয়েছে যে পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জবাব চাই। একই সঙ্গে কৃষি আইন নিয়েও সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন- ছোলার দানার উপর পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র এঁকে রেকর্ড গড়লেন হাবড়ার সৌভিক
পেগাসাস ইস্যু নিয়ে শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে বাদল অধিবেশন। যার জন্য বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলেছে সরকার। এই বিষয়ে বিরোধীদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সরকার সংসদে অচলাবস্থার সৃষ্টি করে বিরোধীদের নামে দোষ দিচ্ছে। সমগ্র দায় সরকারের। বিরোধীদের দাম মেনে নিতে অদ্বীকার করতেই সংসদে কোনও আলোচনা চাইছে না সরকার।”
বাদল অধিবেশনের শুরু থেকে উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। এই বিরোধিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল তৃণমূল। মঙ্গলবার সংসদের উচ্চকক্ষে ব্যপক বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের সাংসদেরা। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা। যার জেরে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয় রাজ্যসভায়।
আরও পড়ুন- ছোলার দানার উপর পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র এঁকে রেকর্ড গড়লেন হাবড়ার সৌভিক
এই অপরাধের কারণেই শাস্তির শিকার হতে হয়েছে তৃণমূলের ছয় সাংসদকে। বুধবার সমগ্র দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। এর আগে মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে। তাঁকে সমগ্র বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
সূত্রর খবর, এই বিষয়ে বিরোধী শিবিরের সাংসদদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। পেগাসাস ইস্যু নিয়ে শর্তসাপেক্ষে আলোচনা করার অনুমতি দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি এবং কৃষি আইন নিয়েও সংসদে আলোচনার জন্য বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। এমনই সংবাদ পরিবেশন করেছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।