শিলিগুড়ি : শুধু চোরা শিকারীরাই নয়। এখন চোরাই কাঠ পাচারের কাজেও নিযুক্ত থাকছেন সরকারি অধিকারিকরাও। কিছু ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, সরকারি উচ্চ পদস্থ্য কর্মচারীরাও এই কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় জড়িয়ে পড়লেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব শুল্ক দফতরের এক অফিসার এবং একজন জিএসটি অফিসার।
আরও পড়ুন : রেলের কামরায় পাচারের চেষ্টা, মুখ বাঁধা শতাধিক টিয়া উদ্ধার
শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় চোরাই কাঠ পাচারের আগেই গ্রেফতার হলেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব শুল্ক দফতরের এক অফিসার এবং একজন জিএসটি অফিসার। বন বিভাগ সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগে গোপন সূত্রে খবর আসে, শিলিগুড়িতে কাস্টমসের ব্যবহৃত একটি গোডাউনে লুকিয়ে রাখা রয়েছে বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ। এরপরই গোপনে নজরদারি শুরু করে বন বিভাগ। মঙ্গলবার রাতে ওই কাঠ শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হলে বমাল গ্রেফতার হন ৭ জন। বন বিভাগ জানিয়েছে, ধৃত এই ৭ জনের মধ্যে দুজনের একজন কাস্টমস সুপারিন্টেন্ডেন্ট এ.কে মাঝি এবং অন্যজন হলেন জিএসটি অফিসার দেবাশিষ ধর। এদের মধ্যে জিএসটি অফিসার দেবাশিষ ধর নানা কুকর্মের জন্য আগেই সাসপেন্ড হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। ধৃতদের হেফাজত থেকে ২৫ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আটক হয়েছে কাঠ বোঝাই লরি এবং নীল বাতি লাগানো একটি স্করপিও গাড়ি।