নয়াদিল্লি: ১৮,০০০ কোটি টাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা টাটার হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এতে কী আদৌ লাভ হল কেন্দ্রের? এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান পরিষেবার জন্য বর্তমানে দৈনিক প্রায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে কেন্দ্রের। ২০০৯-১০ সাল থেকে আমআদমির করের টাকার একটা বড় অংশ এয়ার ইন্ডিয়ার পিছনে গিয়েছে।
সেই টাকার পরিমাণটা শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। এয়ার ইন্ডিয়াকে সচল রাখতে ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, লোকসানের বহর আরও বাড়ছে। ইনভেসমেন্ট এবং পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট দফতরের সেক্রেটারি জানিয়েছেন, ‘রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে এটা জরুরি ছিল।’ ফলে বোঝাই যাচ্ছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণে সরকার কতটা মরিয়া ছিল?
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার কোটি টাকায় এয়ার ইন্ডিয়া কিনল রতন টাটার সংস্থা
ঋণের বোঝা থাকা সত্ত্বেও এয়ার ইন্ডিয়া এখনও দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ বিমান সংস্থা। বিলগ্নিকরণ দফতরের সচিব জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার হস্তান্তরের পর মোট ৪৬,২৬২ কোটি টাকার ঋণ থাকবে। এই ঋণ এআইএএইচএল(Air India Assets Holding Limited (AIAHL)-এর নামে হবে। চলতি বছর অগস্টের শেষে সংস্থার মোট ঋণ ছিল ৬৫,৫৬২ কোটি টাকা।
এর মধ্যে মাত্র ১৮০০০ কোটি দিয়েছে টাটা। বাকি টাকার দায় সরকারের উপরই থাকছে। অর্থাৎ, এয়ার ইন্ডিয়া টাটাদের হাতে তুলে দিলেও সরকারের বোঝা থেকেই যাচ্ছে। মোট ঋণের অঙ্ক শুনে অনেক সংস্থায় পিছিয়ে এসেছিল বিডিং থেকে। কে সর্বোচ্চ টাকা দিতে পারে, তার ভিত্তিতেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইস জেটের কর্ণধার অজয় সিংহ এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ফের ‘ভুয়ো’ ছবি, এ বার ভাইরাল আমেরিকার সংবাদপত্রে মোদির ছবি সহ ‘প্রশস্তি’
১৫ হাজার কোটি টাকা দর হেঁকেছিলেন তিনি। তবে ১৮ হাজার কোটি টাকা দর হেঁকে এয়ার ইন্ডিয়া কিনে নেয় টাটা সন্স৷ বর্তমানে দেশের বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে ৪,৪০০টি দেশীয় এবং ১,৮০০ আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং ও পার্কিং স্লট রয়েছে। বিদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ৯০০টি জায়গা নেওয়া রয়েছে। মুম্বইয়ের এয়ার ইন্ডিয়া বিল্ডিং এবং দিল্লির এয়ারলাইন্স হাউসও রয়েছে সংস্থার হাতে।