দিল্লি : অধীরেই আস্থা রাখলেন সোনিয়া গান্ধী। লোকসভায় কেন্দ্রীয় দলনেতা থাকছেন তিনি। ১৯ জুলাই সংসদে বাদল অধিবেশন শুরুর আগে উভয়কক্ষের কংগ্রেসের সংসদীয় টিম তৈরি করেন সোনিয়া গান্ধী। অধীর চৌধুরীকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। বুধবার কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পর সেই জল্পনায় জল ঢেলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বাদল অধিবেশনের আগে সীমিত সময়ে নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। কংগ্রেস সভানেত্রী বুধবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে লোকসভা ও রাজ্যসভায় কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। কেন্দ্রীয় সরকার বাদল অধিবেশনে কী কী বিল আনবে ও সেই প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের অবস্থান কী হবে তা ঠিক করে দেন সোনিয়া। বদল অধিবেশনে মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কোভিড অব্যবস্থাপনা এবং চীন-ভারত সীমান্ত ইস্যুতে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে কংগ্রেস। রাফাল ইস্যুতেও সুর চড়াতে পারে কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীর লোকসভার দলনেতা পদ নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি। রবিবার কংগ্রেসের সংসদীয় দলের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন :লোকসভায় কংগ্রেসের মুখ হিসেবে অধীরেই আস্থা সোনিয়ার
লোকসভায় পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরী থাকছেন বলে জানানো হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর অধীরকে লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব দিয়েছিল দল৷ বাদল অধিবেশনে লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচন হতে পারে। সেখানে কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী হতে পারেন কে. সুরেশ। তিনি লোকসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক। সেক্ষেত্রে মুখ্য সচেতক পদে অন্য কারও নাম আসতে পারে। এ ছাড়াও লোকসভায় কংগ্রেসের দু’জন সচেতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন, মনিক কাম টেগর এবং নবনীত সিং বিট্টু। মনিক কাম টেগরকে দলের তরফে তেলেঙ্গানা রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টেগর দলকে জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানা রাজ্যের দায়িত্ব সামলে লোকসভায় সময় দেওয়া সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে লোকসভায় দলের সচেতক পদেও আর একজন নতুন মুখকে আনা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রের খবর।