নয়াদিল্লি: মৃদু উপসর্গের কারণে ওমিক্রনকে আপাত নিরীহ বলে মনে হলেও, WHO ইতিমধ্যে করোনার নতুন এই স্ট্রেনটিকে ‘ভয়ংকর ভাইরাস’ বলে দাবি করেছেন। কোভিডের কোনও টিকাই (Covid vaccination) যাঁরা নেননি, ওমিক্রনে তাঁদের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কার কথাও জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর, WHO-র সেই আশঙ্কাই কিন্তু সত্যি হতে চলেছে। মহারাষ্ট্রের বৃহন্মুম্বই পুরনিগম (বিএমসি)-এর পর দিল্লির (COVID cases in Delhi) কোভিড রিপোর্টও (Vaccinated Against Covid) কিন্তু হু-র আশঙ্কাতেই সিলমোহর দিল।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Delhi Health Minister Satyendra Jain) শুক্রবার একটি রিপোর্ট সামনে এনেছেন। করোনায় মৃতদের তথ্য বিশ্লেষণ করে, পরিসংখ্যান সহ রিপোর্টে দাবি করা হয়, ৭৫ শতাংশেরই কোনও কোভিড টিকা নেওয়া ছিল না।
গত সপ্তাহে বিএমসি কর্তৃপক্ষের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছিল, মু্ম্বইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে বা অক্সিজেন বেডে ভর্তি থাকা সংকটজনক রোগীদের ৯৬ শতাংশেরই টিকা নেওয়া নেই। দিল্লি ও মু্ম্বই শহরের এই রিপোর্টেই স্পষ্ট ওমিক্রনের সঙ্গে মোকাবিলায় টিকাকরণ কতটা জরুরি।
আরও পড়ুন: আরও বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, একদিনে আক্রান্ত দু’লক্ষেরও বেশি
ওমিক্রনের এই সংক্রমণ-চিত্র সামনে আসার আগে থেকেই অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ভ্যাকসিনেশনের ওপর জোর দেয়। ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণের সঙ্গেই দেশজুড়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিসের মতো ফ্রন্টলাইন করোনাযোদ্ধা ছাড়াও কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের বুস্টার শট দেওয়া শুরু হয়েছে।
দিল্লি স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার দৈনিক কোভিড সংক্রমণ ২৫ হাজারের নীচে নেমে এসেছে। একটানা কিছু দিন ধরে সংক্রমণের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতির পর, এ দিনের রিপোর্ট কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকারকে। সংক্রমণের দৈনিক হার কমাতে দিল্লি অনেক আগেই হলুদ সতর্কতা জারি করেছিল। বর্ষবরণের অনুষ্ঠানও করতে দেওয়া হয়নি। শুরুতেই কোভিড বিধি কড়াকড়ি করায়, পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের মতো বেলাগাম হয়নি। হাসপাতালের ৮৮ শতাংশ (১৩ হাজার) কোভিড বেড খালি রয়েছে।
আরও পড়ুন: লাইনের ত্রুটি না চালকের ভুল? বিকানের এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর উঠছে একাধিক প্রশ্ন
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দৈনিক কোভিড আক্রান্ত ছিল ২৮ হাজার ৮৬৭ জন। অতিমারি শুরুর পর থেকে এটাই ছিল সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে ৩১ জনের মৃত্যুও হয়। পজিটিভিটির হার ২৯.২১ শতাংশ।
এর আগে পর্যন্ত রাজধানীতে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ ছিল গত বছরের ২০ এপ্রিল, একদিনে আক্রান্ত ছিল ২৮,৩৯৫ জন।
গত বুধবার দিল্লিতেং কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭,৫৬১। একদিনে মৃত্যু হয় ৪০ জনের।