লখনউ: আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দিরের ফটক। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে শুরু হয়েছে কাজ। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের প্রথম দফার কাজ। এমনই জানিয়েছেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পট রাই।
ট্রাস্টের কর্তাদের দাবি, নির্ধারিত সূচি মেনেই চলছে মন্দির নির্মাণের কাজ। পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যেই মন্দির সাধারণ দর্শণার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার চম্পট রাই বলেছেন, “রাম মন্দির নির্মাণের প্রথম দফার কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এরপরে পাথরের আর একটি স্তর বসানো হবে।” কর্ণাটকের গ্রাণাইট এবং মির্জাপুরের স্যান্ডস্টোন দিয়ে উপরের স্তর মজবুত করা হবে বলে জানিয়েছন জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পট রাই।
কাজ চলছে অযোধ্যায়
রামের জন্ম হয়েছিল অনেক বছর আগে। তাঁর রাজত্ব শেষ হওয়ার পরেও কেটে গিয়েছে অনেক সময়। সেই স্থানে নাকি বাবরি মসজিদ নির্মাণ হয় মোঘল জমানায়। অযোধ্যায় সেই মসজিদ ভাঙা এবং নয়া মন্দির নির্মাণ শুরু হয়েছে আধুনিক যুগে। সেই কারণে রাম মন্দির নির্মাণে আধুনিকতার পাশাপাশি থাকছে ঐতিহ্যের ছোঁয়া।
এর উপরে বসবে পাথরের স্তর
রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়ে প্রাথম মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। পার্কোটার বাইরে ওই মন্দির চত্বরকে সুসজ্জিত করতে বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই মন্দির চত্বরে থাকছে তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্য বিশেষ ঘর। যেখানে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা থাকবে। সেই সঙ্গে মন্দিরে মিউজিয়াম, সংরক্ষণাগার, অডিটোরিয়াম, গোশালা, যজ্ঞশালা ইত্যাদি। অযোধ্যা শহর এবং রাম মন্দিরের ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নির্মাণ করা হবে সকল স্থপতি। সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাম মন্দিরের মাস্টার প্ল্যানে।