নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দেশজুড়ে হাঙ্গামা বাধানো থেকেই পিএফআই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আতসকাচের তলায় চলে আসে। এই গন্ডগোল পাকানোর নগদ অর্থ কোথা থেকে এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে ইডি। ২০২০ সালে দিল্লি দাঙ্গা, হাথরস কাণ্ডের মতো ঘটনায় পিএফআইয়ের নাম সরাসরি ছাঁকনিতে উঠে আসে।
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে পিএফআই এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (CFI) বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট দাখিল করে ইডি। অর্থ তছরুপের অভিযোগে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, যার মধ্যে কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন:What is PFI: পিএফআইকে কেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার?
কেন্দ্র কেন পিএফআইকে নিষিদ্ধ করল?
কেন্দ্রীয় সরকার তাদের যুক্তিতে বলেছে, পিএফআই লাগাতরভাবে দেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। পিএফআই এবং তাদের শাখা সংগঠনগুলি বা তাদের সঙ্গীসাথীরা দিনের পর দিন ধরে দেশে বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এদের কাজকারবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় এখনই তাদের যদি নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছে ভুল বার্তা যাবে। তারা আরও উৎসাহিত হয়ে পড়বে।
সমাজের একটি অংশকে খেপিয়ে দেশবিরোধী হিংসা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল পিএফআই। যা দেশের সংহতি, নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি ক্ষতিকর। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, পিএফআই এবং তার শাখা সংগঠনগুলি আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক সংগঠন চালাচ্ছিল। কিন্তু তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। তারা দেশের একটি বিশেষ অংশকে সাংবিধানিক কাঠামো ও দেশবিরোধী মনোভাব চাগিয়ে তুলে মুসলিম সমাজকে গণতন্ত্র-বিরোধী করে তুলতে চাইছিল।