ওয়েবডেস্ক: এই প্রথম রাজবংশী ভাষায় (Rajvanshi language) প্রকাশিত হল প্রথম রামায়ণ (Ramayana) । প্রয়াত কবি আনন্দমোহন রায়ের (Poet Ananda Mohan Roy) ইচ্ছে ছিল তাঁর জীবদ্দশায় এই মহাকাব্য অনুবাদ করে বই হিসেবে প্রকাশিত হোক। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। কবির মৃত্যুর পরেই পিতার সেই অপূর্ণ ইছে পূরণ করলেন পুত্র উমাশঙ্কর (Umashankar Roy)।
সোমবার কোচবিহার (CoachBehar) শহরের গুঞ্জবাড়ি সংলগ্ন দ্য কোচবিহার ক্ষত্রিয় সোসাইটি প্রেক্ষাগৃহে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজবংশী ভাষায় লেখা প্রথম রামায়ন প্রকাশিত হল।
উমাশঙ্করের এই উদ্যোগকে সকলেই কুর্নিশ জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নিখিলেশ রায়, অধ্যাপক ভগীরথ দাস, কবি সাহিত্যিক ও সুরকার জগদীশ আসোয়ার, অধ্যাপক মাধব চন্দ্র অধিকারী, শিক্ষক ও শিল্পী যোগেন্দ্রনাথ রায়, কবি শৈলেন দাস সহ বিশিষ্টরা।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষের পরেই জম্মু- কাশ্মীরের রিয়াসিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বিশিষ্ট কবি আনন্দমোহন রায় অন্যান্য কিংবদন্তিদের মধ্যে একজন। তিনি মরিচবাড়ি কুমটিরঘাটের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কৃত্তিবাসী রামায়ণ রাজবংশী ভাষায় অনুবাদ করেন। এছাড়াও তাঁর লেখা যাত্রাপালগুলির মধ্যে রয়েছে ‘মুজিব কেন কবরে’ বা ‘শতাব্দীর ইতিহাস’ এছাড়াও একশোর বেশি ভাওইয়া গান লিখেছেন।
পুত্র উমাশঙ্কর রায় জানিয়েছেন, ‘ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায় বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে সে সময়ও তিনি এই অনুবাদের কাজ চালিয়ে গেছেন। বাবার ওই বইটি অনুবাদের কাজ শেষ হওয়ার পর মারা যান। কর্মসূত্রে আমি জয়সলমীরে থাকায় বইটি সম্পাদনার কাজ করে উঠতে পারিনি। তাই সেই অপূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার পরেই বইটি প্রকাশ করতে পারলাম। বাবার জীবদ্দশায় করতে পারলে আরও ভালো লাগত।
দেখুন অন্য খবর: