কলকাতা: মহাসাগরকে পৃথিবীর ফুসফুস বলে মনে করা হয়। কারণ, বায়োস্ফিয়ারে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের খাদ্য ও ওষুধের অন্যতম ভাণ্ডার এই মহাসাগর। ফলে যেভাবেই হোক রক্ষা করতেই হবে সমুদ্রকে। পৃথিবীর মোট ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। ১৯৯২ সালে ৮ জুন, প্রথম উদযাপিত হয় ‘বিশ্ব মহাসাগর দিবস’ (World Oceans Day 2023)। সেই বছর ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরো-তে সংঘটিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক (UNCED) সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহাসাগর দিবস (World Oceans Day) পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ২০০৮ সালে জাতিসংঘ এই দিবসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। প্রতিবছরই নির্দিষ্ট একটি থিমের উপর ভিত্তি করে এই মহাসাগর দিবস উদযাপিত হয়। আর এই দিনটির অন্যতম গুরুত্ব হল, এদিন আরও একবার নতুন করে মানুষকে সমুদ্রের উপযোগিতার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
আর এই নীল সমুদ্রের অতল গভীরে কী কী আছে দেখে নেওয়া যাক ৫ পয়েন্টে
১) পৃথিবীর প্রায় ৯৪ শতাংশ প্রাণী প্রজাতি বাস করে সমুদ্রের নীচে! ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অফ মেরিন স্পিসিসের মতে, এখনও পর্যন্ত সমুদ্রের প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে।
২) পৃথিবীর বৃহত্তম পর্বতমালা রয়েছে সমুদ্রের নীচে! মধ্য-মহাসাগরীয় শৈলশিরা (Mid-Ocean Ridge), যা প্রায় ৬৫,০০০ কিলোমিটারের মতো দীর্ঘ, তা তো জলের নীচেই!
আরও পড়ুন: বিশালাকার পাথরগুলো নিজে নিজে চলে, জানুন কোন রহস্যে মোড়া এই উপত্যকা
৩) মহাসাগরগুলি পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশ অক্সিজেন উৎপাদন করে। কারণ সমুদ্রের নীচে থাকা সামুদ্রিক প্রজাতিই এই অক্সিজেন উৎপাদন করে।
৪) পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম মহাসাগর হল প্রশান্ত মহাসাগর। এতে ২৫ হাজারেরও বেশি দ্বীপ রয়েছে।
৫) জানা গিয়েছে, সমুদ্রের নীচে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন সোনা রয়েছে। কিন্তু সেগুলি সংগ্রহ করা কঠিন, কারণ সেগুলি তরল আকারে জলের সঙ্গে মিশ্রিত।