ওয়ার্কআউটের পর কুলিং ডাউন সেশন কতটা জরুরী যারা নিয়মিত ইনটেন্স ওয়ার্কআউট করেন তারা সকলেই জানেন। জিম কিংবা বাড়িতে যে কোনও হেভি এক্সারসাইজের কারণে মাংশপেশিতে চাপ পড়ে ও হৃদ স্পন্দন বেড়ে যায়। তাই হৃদ স্পন্দন স্বাভাবিক করতে ও মাংশপেশিকে বিশ্রাম দিতে হেভি ওয়ার্কআউটের পর কয়েকটি হালকা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করতে হয়। তবে অনেকেই এই কুলিং পিরিয়ডকে তেমন গুরুত্ব দেন না এবং সময়ের অভাবে জিমে ওয়ার্কআউট করেই বেরিয়ে যান। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী ক্ষেত্রে শরীরের বাইরে বা ভেতরে আঘাতে সম্ভাবনা বাড়ে।
এই কুলিং ডাউন পিরিয়ড কেন এত গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ফিটনেস এক্সপার্ট নিধি। এই কুলিং ডাউন পিরিয়ডের পক্ষে এই কারণগুলি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি-
View this post on Instagram
হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক করে
হেভি ওয়ার্কআউটে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। সেখান থেকে এই হার্ট রেট যদি আচমকা অনেকটা কমে যায় তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন মাথা হালকা টলে যেতে পারে কিংবা ঝিমঝম ভাব তৈরি হতে পারে। তাই এই সময় কুলিং ডাউন পিরিয়ডের হালকা কসরতের ফলে হৃদস্পন্দনের গতি ঝপ করে না অনেকটা কমে না গিয়ে আসতে আসতে কম হয়। এর ফলে শরীরের কোনও সমস্যা হয় না।
হেভি ওয়ার্কআউটের পর আঘাতের সম্ভাবনা বাড়ে
হেভি ওয়ার্কআউটে মাংশপেশির ওপর প্রবল চাপ পড়ে। এই সময় মাংশপেশির স্ট্রেচিংয়ের প্রয়োজন। শারীরিক কসরতের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে তাই দেরি না করে এই সময়েই স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করলে মাংসপেশির বিশ্রাম হয়। মাসেল ফাইবারের ওপর প্রচণ্ড চাপে সেগুলোর সঙ্কুচন হয়, তা প্রসারিত করার জন্য ভীষণ প্রয়োজন এই কুলিং পিরিয়ড।
মন শান্ত করে
এই কুল ডাউন পিরিয়ড শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার পাশাপাশি মনও শান্ত করে। শান্তিতে চিন্তন মননের সুযোগ করে দেয়। এই ওয়ার্কআউট করা তখনই সফল হবে যখন শরীরের পাশাপাশি মনের ক্লান্তিও দূর হবে।
আরও পড়ুন: জিমের বদলে বাড়িতেই শরীর টোন করতে কাজে লাগান নো ইকুইপমেন্ট ওয়ার্কআউট
(ছবি সৌ: Unsplash)