ডার্মাপ্লেনিংয়ের (dermaplaning) নাম শুনেছেন। সহজ ভাষায় যাকে বলে ফেস শেভিং (face shaving)। ফেস শেভিংয়ের কথা শুনলে অনেকেই আঁতকে উঠবেন। তবে এই শেভিং কিন্তু অন্যান্য শেভিংয়ের থেকে আলাদা। এটা এক ধরনের স্কিন ট্রিটমেন্ট। তবে রেজার চালানোর মত এতেও এক বিশেষ ধরনের ব্লেড চালানো হয় তাই এই ট্রিটমেন্টকে বলা হয় ফেস শেভিং।
সাধারণ শেভিংয়ের তুলনায় ডার্মাপ্লেনিং আলাদা কেন?
ডার্মাপ্লেনিংয়ে যে ব্লেডটি ব্যবহার করা হয় তা সাধারণ ব্লেডের থেকে অনেকটাই ছোট। এর ফলে এই ব্লেডের শেভিংয়ে ত্বকের মৃত কোষের পাশাপাশি যে সুক্ষ্ম লোম থাকে তাও উঠে আসে। এর ফলে ত্বক পরিষ্কার হয়ে আরও উজ্জ্বল ও মসৃণ দেখায়। এই শেভিংয়ে কেটে গিয়ে রক্ত বেরনোর ভয় নেই। এবং এটা ত্বকের ওপর চালানোর সময় আপনার মনে হবে যেন আপনার আদরের পোষ্য বিশেষ করে বিড়াল জিভ দিয়ে আপনার গাল চেটে দিয়েছে। তাই চাইলে বাড়িতেও এই পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
কীভাবে করবেন জেনে নিন-
ডার্মাপ্লেনিংয়ের জন্য ত্বক তৈরি করে নিন
যদিও এতে ত্বকে কোনও রকম আচড় বা গাল কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে সদ্য এক্সফোলিয়েট হওয়া ত্বকে জীবাণুর হয়রানি না চাইলে মুখ প্রথমে পরিষ্কার করে নিন। একটা মাইল্ড ক্লেনজার ব্যবহার করুন। ক্লেনজার দিয়ে দু হাতের তেলোতে ল্যাদার বা বাবেলস তৈরি করে মুখ ধুয়ে নিন। এবং টোনার লাগিয়ে নিন। পারলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে এমন টোনার বাছুন।
এবার ব্লেড চালানোর পালা
এক হাত দিয়ে হালকা করে মুখের চামড়া টেনে ধরুন। অন্য হাতে ব্লেডটি ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ত্বকের ওপর রাখুন। এবার আলতো হাতে ছোটো ছোটো স্ট্রোকে ব্লেড চালান। হেয়ারলাইন থেকে সেন্টারের দিকে ব্লেড চালান। যদিও বলার অপেক্ষা রাখে না তবে ভুরু, চোখ, নাক ও ঠোঁট বাচিয়ে শেভ করুন।
শেভিং শেষে এই কাজগুলো করে নিন
শেভিং শেষে বিশেষ কোনও সামগ্রীর ব্যবহারের প্রয়োজন নেই তবে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে আপনার রেগুলার ময়শ্চারাইজার মুখে লাগিয়ে নিন।
অন্যান্য হেয়ার রিমুভ্যাল(hair removal) পদ্ধতির তুলনায় এই শেভিংয়ে কোনও সাইড এফেক্ট আছে বলে সেভাবে এখনও জানা যায়নি। ওয়াক্সিংয়ের (waxing) ক্ষেত্রে ত্বকর ওপর বার বার টান পড়ে ত্বক কিছুটা হলেও লুজ বা চামড়া ঝুলে যায়। অন্যদিকে থ্রেডিংয়ে চুল বা লোমের গোড়ায় টান পড়ে এবং এই ফলিকলগুলো আরও বড় দেখায়।