কথায় আছে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। শহরের কাঠফাটা গরমের থেকে দূরে শীতল পরিবেশ বাঙালি এই মূহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রিয় জায়গা। কোনও এক অফবিট স্থান, যেখানে কয়েকটা দিন হাত-পা ছডি়য়ে কাটানো যাবে। নির্জন প্রকৃতির বুকে ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে পাড়ি জমান পাশের রাজ্যে। ঘুরে আসুন ওড়িশার (Odisha) রূপক ভিলেজ (Rupark Village) থেকে।
কলকাতা থেকে গেলে গাড়িতে প্রায় ৫ ঘন্টা লাগবে আর ট্রেনে মাত্র ঘন্টা তিনেক। বালাসোর স্টেশনে নেমে সেখান থেকে থেকে ২৮ কিমি দূরেই পাবেন পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির। এখানে পাবেন পঞ্চলিঙ্গেশ্বর পাহাড় (Panchulingeswar) ও দেবীকুণ্ড ঝরনা, এছাড়াও যেতে পারেন সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্টে। এছাড়া ঘুরে আসুন নীলগিড়ি পাহাড়ের কোলে সুন্দর গ্রাম রুপার্কে। এখানেই আছে সাজানো গোছানো একটি ভিলেজ রিসর্ট। গ্রামের নামেই রিসর্টটি। দুই-তিন থেকে আশেপাশের দর্শনীয় স্থান দেখে নিতে পারেন।
এই রুপার্ক ভিলেজ আর পাঁচটা গ্রামের মত নয়, খুব সুন্দর গ্রাম। গ্রামের পরিবেশ আপনাকে এতটাই মুগ্ধ করবে যে, আর মন চাইবেনা শহরের আধুনিকতাতে ফিরতে। ওড়িশা রাজ্যে র বালাসোর স্টেশনে নেমে ২৮ কিমি দূরেই দেখতে পাবেন পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির। এই মন্দিরের পাশেই রয়েছে ছোট্টো গ্রাম যার নাম রুপার্ক ভিলেজ।
আরও পড়ুন:War 2 | Ayan Mukherji | Aditya Chopra | অয়নের রেকর্ড পারিশ্রমিক
চারিদিকে ঘন জঙ্গলে ঘেরা রয়েছে এই গ্রাম। এখানে মূলত আদিবাসীদের বসবাস। রাত হলেই ভেসে আসবে মাদলের সুর। শহরের কোলাহল থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। শান্ত স্নিগ্ধ মায়া ভরা এই গ্রাম। সবুজে মোড়া রুপার্ক ভিলেজ (Roopark Village)। তবে ছোট হলেও ছবির মতো সুন্দর রুপার্ক গ্রাম। এই গ্রামের মূল আকর্ষণ হল পঞ্চলিঙ্গেশ্বর পাহাড় এবং মন্দির।
এখানে পাঁচটি ঝর্ণার জল পাঁচটি কুন্ডে এসে পড়ে এবং সেই কারণেই এই স্থানের অপর নাম পঞ্চ কুন্ড। এই পাঁচটি কুন্ডের নাম অমৃতকুন্ড, ঘৃতকুন্ড , হলদিকুন্ড ,দেবকুন্ড ,এবং দেবীকুন্ড। এরমধ্য়ে দেবীকুণ্ড বা দেওকুণ্ড। এই কুণ্ডের পাশ দিয়ে উপর দিকে ৩৬০টি সিঁড়ি বেয়ে উঠলে নদীর উৎস মুখের নিকটে দেবী অম্বিকার মন্দির। পঞ্চলিঙ্গেশ্বরে পাহাড়ে যখন সিঁড়ি ভেঙে উঠবেন পায়ে ব্যা থা সেরে যাবে পঞ্চলিঙ্গেশ্বরের ঝর্ণার জলে। আর এই ঝর্ণার জলে যখন হাত দেবেন অনূভব করবেন শিবলিঙ্গের।
কীভাবে যাবেন: আপনি যদি গাড়িতে আসতে চান ড্রাইভ করে, তাহলে ৫ ঘন্টায় আপনি পোঁছে যাবেন এই রুপার্ক ভিলেজে। আর যদি ট্রেনে আসতে চান, তাহলে হাওড়া থেকে বালাসোর, বালাসোর থেকে অটো ধরে চলে আসুন পঞ্চলিঙ্গেশ্বরে।