কলকাতা: বাস্তুর সঠিক নিয়ম মেনে চললে জীবনে শুভ শক্তির প্রভাবে প্রচুর সাফল্য লাভ করা যায়। আবার বাস্তু অনুসারে কোনও কোনও ভুল কাজ আমাদের জীবনে নানা ভাবে ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। আমরা সকলেই জানি মানবজীবনের প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে গ্রহ-নক্ষত্রের কোনও-না-কোনও সম্পর্ক আছে। তেমনই আমাদের জুতোর (Shoes) সঙ্গে রয়েছে শনিগ্রহের যোগ। বাস্তুশাস্ত্রে মনে করা হয় যে, যে কোনও মানুষের পা-ই তাঁকে সাফল্যের সিঁড়িতে পৌঁছতে সাহায্য করে। আর তাই জুতো পরার ক্ষেত্রেও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানা উচিত। কারণ এর প্রভাবও পড়ে ভাগ্য এবং জীবনের উপর। দেখে নিন, জুতো পরার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিত।
১) চুরি করা অথবা উপহারে পাওয়া জুতো কখনওই পরা উচিত নয়। এতে নিজের লক্ষ্যে কখনওই পৌঁছনো যায় না। উল্টে ভাগ্য বিরূপ হয় এবং কেরিয়ারও এগোয় না।
২) কোনও চাকরির ইন্টারভিউতে যাওয়ার সময় ছেঁড়া জুতো পরা উচিত নয়। এটা সৌভাগ্যকে দুর্ভাগ্যে পরিণত করতে পারে। সাফল্য রুখে দিতে পারে। তাই ভাল জুতো না-থাকলে ধার করা যায়, কিন্তু চুরি কখনওই নয়।
৩) বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বিদ্বজ্জনেরা কর্মক্ষেত্রে বাদামি অথবা কাঠের মতো রঙের জুতো পরবেন না। এটা দুর্ভাগ্য ডেকে আনতে পারে।
৪) ব্যাঙ্ক ও শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত ব্যক্তিদের কর্মক্ষেত্রে কফি অথবা গাঢ় বাদামি রঙের জুতো পরে না-যাওয়াই উচিত। এতে কাজের বিঘ্ন ঘটতে পারে। এমনকী আয়ের পথও ব্যাহত হতে পারে।
আরও পড়ুন:Offbeat Destination | যাবেন নাকি ‘ল্যান্ড অফ ফলেন রকসে’?
৫) স্বাস্থ্যকর্মী অথবা লোহালক্কড়ের কারবারিরা সাদা জুতো পরা থেকে বিরত থাকুন। এটা দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে এবং সম্পত্তিহানিও ঘটতে পারে।
৬) জল অথবা আয়ুর্বেদিক ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা নীল জুতো পরবেন না। কাপড়ের জুতো পরা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
৭) খাওয়ার সময় জুতো পরে থাকা ঠিক নয়। এতে জীবনে নেতিবাচকতা ঘিরে ধরে। বাইরে কোথাও খেতে গেলে জুতো খুলে খেতে বসা উচিত।
৮) বাস্তুশাস্ত্র মতে, উত্তর-পূর্ব দিশায় কখনওই জুতো অথবা জুতোর তাক রাখা উচিত নয়। কারণ এই দিশাতেই দিনের প্রথম সূর্যরশ্মি পড়ে।
৯) বাস্তুশাস্ত্র মতে, ঘরের প্রবেশ দ্বারের সামনে জুতো খুলে রাখতে হবে এবং তাকে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে হবে। তবে যদি ঘরের প্রবেশদ্বার উত্তর-পূর্ব দিশায় থাকে, তাহলে সেখানে জুতো অথবা জুতোর তাক রাখা চলবে না।
১০) ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় জুতো রাখা উচিত নয়। পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যহানি এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কটার উপর আর একটা জুতো অথবা একটা জুতোর ভিতরে আর একটা জুতো রাখা উচিত নয়। ঘরের এনার্জি নষ্ট হয় এবং পেশাগত ক্ষেত্রে বিঘ্ন আসে।
১১) কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পরে তাঁর জুতো ঘরে রাখা ঠিক নয়। সেটা দান করে দেওয়া উচিত। অথবা পুড়িয়ে বা মাটি চাপা দিয়ে ফেলা উচিত। জুতো বিছানা অথবা টেবিলে রাখা উচিত নয়। এমনকী, নতুন হলেও নয়। এতে পরিবারে মৃত্যুর খাঁড়া পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। খাটের তলায়ও জুতো রাখা উচিত নয়। খাটের এক পাশে খুলে রাখা উচিত।