অনেকেরই ধারণা শুধু গ্রীষ্মকালেই হাইপারপিগমেন্টেশনের হয় ত্বকে। তা কিন্তু না শুষ্ক আবহাওয়া, পারদ নামলে, আর্দ্রতার অভাবে ত্বকে পিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার যাঁদের আগে থেকেই হাইপারপিগমেন্টশনের সমস্যা আছে শীতকাল এলেই ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। এই অবস্থায় নিত্যদিনের পরিচর্যায় কাজে লাগাতে পারেন পুদিনা দিয়ে তৈরি টোনার। বাজার থেকে রাসায়নিক যুক্ত টোনারের বদলে বরং বাড়িতেই টোনার বানিয়ে নিতে পারেন।
পুদিনা পাতার উপকারিতা
পুদিনা পাতার হাই অ্যান্টি ব্যক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। এই কারণে ব্রণ থেকে শুরু করে ত্বকের একাধিক সমস্যায় দারুণ কাজের এই পাতা। এটা ডার্ক স্পট কম করে, ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তোলে এবং রং উজ্জ্বল করে। এখানেই শেষ নয় ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। হরমোনের কারণে আবার অনেক সময় রোদে পুড়ে পিগমেনটেশনের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। এই ক্ষেত্রে পুদিনা পাতার অ্যাস্ট্রিনজেন্ট কার্যকারিতা খুবই কাজে আসে। ত্বকের রোমকূপগুলো থেকে সেবাম ও ব্যাক্টেরিয়া পরিষ্কার করে ত্বককে আরও সুন্দর করে তোলে। বাড়িতে বানানো এই মিন্ট টোনারের ক্ষেত্রে সবথেকে ভাল বিষয় হল এটি নন টক্সিক, অর্গ্যানিক, নন জিএমও, প্যারাবেন ফ্রি ও অ্যালকোহল ফ্রি।
আরও পড়ুন: শুধু ফাটা ঠোঁট কিংবা গোড়ালি সারাতেই নয় এই সব ক্ষেত্রেও দারুণ চমৎকার পেট্রোলিয়াম জেলি
তাই নিত্যদিনের পরিচর্যায় পুদিনা রাখতে বাড়িতেই এইভাবে বানিয়ে নিন পুদিনা পাতার টোনার
পুদিনা পাতা প্রথমে ভাল করে ধুয়ে নিন। এরপর এই পাতাগুলো দেড় কাপ জলে দিয়ে ৩ থেকে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ফোটানো হয়ে গেলে পাতাগুলো ছেঁকে নিয়ে ফেলে দিন। আর পুদিনা পাতা ফোটানো জল গ্লাসে ঢালুন।
ফ্রিজে রেখে দিন। এতে যেহেতু কোনও প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়নি তাই মিন্ট টোনার ভাল রাখতে এই শীতেও ফ্রিজে রাখতে হবে। পুদিনার এই হোমমেড টোনার অন্তত পাঁচদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।
টোনার থেকে গন্ধ বেরোতে শুরু করলে এটা ফেলে দিয়ে পুদিনার নতুন পাত দিয়ে একই পদ্ধতিতে আবার টোনার বানিয়ে নিন।
View this post on Instagram
ব্যবহারের পদ্ধতি?
এই টোনার তুলোয় নিয়ে মুখে লাগিয়ে ফেলুন। লাগানো হয়ে গেলে একটু পরে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
আপনার সুবিধে ও ত্বকের প্রয়োজন মতো এই টোনার সকালে বা রাতে ব্যবহার করতে পারবেন।