বাজার এখন গ্রিন টি (green tea)-র। ওজন কমাতে কিংবা শরীর ভাল রাখতে এই গ্রিন টি(green tea)-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ নিউট্রিশনিস্ট(nutritionist) থেকে ফিটনেস কোচ(fitness coach) প্রত্যেকেই। কিন্তু জানেন কি শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যকর হিসেবে এক নিমেষে গ্রিন টি-কে পিছন ফেলতে পারে এক কাপ ক্যামোমাইল টি(chamomile tea)। কারণ, যে-কফিতে(coffee) যে-ক্যাফেন(caffeine) থাকা নিয়ে এত তর্ক-বিতর্ক(debate), তা মাত্রায় কিছুটা কম হলেও রয়েছে গ্রিন টি (green tea)-তেও। কিন্তু ক্যামোমাইল টি(chamomile tea)-তে কোনও ক্যাফেন নেই। বদলে রয়েছে এমন সব কার্যকরী উপাদান, যা শরীরে গেলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে। যেমন-
১. ইনসোমনিয়ার (insomnia) সমস্যায় কার্যকরী ক্যামোমাইল টি(chamomile tea)
ক্যামোমাইলে এপিজেনিন নামে একধরনের উপাদান রয়েছে। এপিজেনিনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কার্যকরী রয়েছে তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই চা খেলে ভাল ঘুম আসে। এই কারণেই ক্যামোমাইলকে(chamonile) মাইল্ড ট্র্যাঙ্কুলাইজার (mild tranquiliser) বলা হয়েছে।
২. মুড সুইংয়ের সমস্যায় ভুগছেন? কাজে দেবে ক্যামোমাইল টি (chamomile tea)
শুধু ঘুম নয়, ক্যামোমাইল চা খেলে ভাল থাকে মন। এই চা স্ট্রেস ও উদ্বেগ কম করে। মনে প্রশান্তি আনে।
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ক্যামোমাইল চায়ের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি কার্যকারিতার কারণে এই চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়বিটিসের রোগীর ওজন বাড়লেই সমস্যা আরও বাড়ে। ক্যামোমাইল চা লো ক্যালোরি, তাই এই দুটো সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখে এই চা। তাই এরেটেড ড্রিঙ্কের বদলে এই ক্যামোমাইল চা খাওয়ার অভ্যেস করলে ক্যালোরি ও চিনি যে-মাত্রায় শরীরে পৌঁছয়, তা সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৪. সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথায় কাজে লাগে ক্যামোমাইল টি (chamomile tea)
অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে সর্দি কাশি, নাক বন্ধ, গলা ব্যথার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এই সব সমস্যায় দারুণ কাজের এক কাপ গরম ক্যামোমাইল চা। এমনকি প্রচণ্ড সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে ভাপ নিতে পারেন ক্যামোমাইলের, আরাম পাবেন।
৫. মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্পে ভীষণ কার্যকরী ক্যামোমাইল টি (chamomile tea)
ব্যথা নিরাময় ও অ্যান্টি স্প্যাসমোডিক কার্যকারিতা রয়েছে ক্যামোমাইলে। তাই পিরিয়ডসের সমস্যায় ক্যামোমাইল চা খেলে আরাম পাবেন। এই সময় ক্যামোমাইল চা ব্যথার অবস্থা থেকে ইউটেরাসকে শিথিল করে। এর ফলে এই সময় যে-সব পদার্থ নিঃসরণের কারণে ইনফ্লেমেশন ও ব্যথা হয় সেগুলির নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।