আপনি কি সন্তানসম্ভবা? খাওয়া দাওয়া, শরীর চর্চার পাশাপাশি সতর্ক থাকুন এই সব প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বেশ কিছু এমন বিউটি প্রোডাক্টস(beauty products) রয়েছে যার ব্যবহারে প্রেগন্যান্সিতে(pregnancy) জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে এমনকি হবু সন্তানের ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে। যেমন-
ব্রণ(acne) সারাতে ভীষণ কার্যকরী এই রেটিনল ও রেটিনয়েড(retinol and retinoid)। কিন্তু নবজাতকের(new born) জন্য ততটাই ক্ষতিকারক এই রাসায়নিক(chemicals)। জন্মগত বেশ কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় ওভার দ্য কাউন্টার(over the counter) সামগ্রী যেমন অ্যান্টি-এজিং সিরাম(anti-ageing serum) ব্যবহার না করাই ভাল। সাধারণত খুবই অল্প পরিমানে হলেও এই অ্যান্টি এজিং সিরামে (anti-ageing serum) রেটিনল ও রেটিনয়েড ব্যবহার করা হয়।
এটা অবাক করার মতই! কারণ, অনেক প্রসাধনীর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয় এসেনশিয়াল অয়েল (essential oils)। স্বাভাবিক ভাবেই যারা রাসায়নিকের বদলে প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহারে আগ্রহী তাদের প্রথম পছন্দ এই এসেনশিয়াল অয়েল। কিন্তু অনেকে ক্ষেত্রেই দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় এই এসেনশিয়াল অয়েলের(essential oils) ব্যবহারে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া এই এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার না করাই ভাল।
দাগছোপ মুক্ত করে ত্বকের জৌলুস ফিরিয়ে আনতে এই স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের(salicyclic acid) জুড়ি মেলা ভার। তবে প্রচুর বেশি পরিমানে এই রাসায়নিক ভ্রুন ও নবজাতকের জন্য ততটাই ক্ষতিকারক। যদিও ওভার দ্য কাউন্টার প্রোডাক্টে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড খুবই কম মাত্রায় থাকে। ব্যবহারে কোনও ক্ষতি হয় না। তবে খাওয়ার কোনও ওষুধ যেখানে বেশি পরিমানে এই স্যালিসাইলিক অ্যাসিড রয়েছে তা না খাওয়া-ই উচিত। আরও ভাল হয় যদি চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা হয়।
সন্তান ধারনের সময় কিংবা গর্ভাবস্থায় সাধারণত যে সব নেল পলিশ ও হেয়ার স্টাইলিং সামগ্রীতে ফরমালডিহাইট থাকে তা চিকিত্সকরা ব্যবহার করতে মানা করেন। জানা গেছে ফার্টিলিটিকে প্রভাবিত করে ফর্মালডিহাইড। এর ফলে বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়। এদিকে গর্ভাবস্থায় নিজেকে যত সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা যায় তাতে মন ভাল হয়। তাই প্রয়োজনে বিউটি পার্লার বা সালোঁতে গেলে কিংবা বাড়িতে নিজে করলে এর ব্যবহার যাতে না হয় সে বিশয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
(ছবি সৌ :Pexels)