গরমে কার্যত পুড়ছে বাংলা (West Bengal)। চাঁদিফাটা রোদে (Sun) বেরোলে মুখ (Face) ঝলসে যাচ্ছে। তার সঙ্গে সানট্যান, সান বার্নের সমস্যা তো রয়েছেই। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বাঙালি যেটা নিয়ে ভয় পায়, তা হল ঘামাচি। এই গরমে এড়াতেই হবে ঘামাচির সমস্যা। তাপমাত্রার পারদ দিন দিন বাড়ছে। ভ্যাপসা গরমের হাত কবে নিষ্কৃতি মিলবে, কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে রাজ্যে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি হাওয়া অফিস। তীব্র রোদে ঘামেভেজা জামাকাপড় থেকে ত্বকের নানা সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।
ঘাম হলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে। তাই ঘাম হওয়া ভাল। শরীরের চাপা অংশে ঘাম জমে থাকলে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ঘামের সঙ্গে ত্বকের যে সমস্যা ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে তা হল ঘামাচি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় ঘামাচিকে বলে মিলিয়ারিয়া। ভ্যাপসা গরমে ঘাম ও ঘামাচির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: Coronavirus | কমল দৈনিক সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৭, ৬৩৩ জন
প্রথমেই স্নানের জলে বরফ আর পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিন। এই জলে স্নান করলে গরমের দিনে আরাম পাবেন। এছাড়াও বালতির জলে হাফ কাপ কাঁচা দুধ আর গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা হবে, শুষ্ক ভাব দূর হবে এবং গরমের হাত থেকে শরীর রেহাই পাবে।
যদি এই ব়্যাশ, ফুসকুড়ির সমস্যা বেশি হয় তাহলে মুখে বরফ ঘষে নিন। এছাড়াও জেল বেস সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, রোদে বেরনোর আগে মুখে কোনও গ্রিন টি সিরামও লাগাতে পারেন। এতেও কিন্তু ভাল কাজ হয়। সানস্ক্রিনের থেকেও রোদে ভাল কাজ করে ভিটামিন সি সিরাম।
প্যাক বানান
সাদা চন্দন পাউডারের সঙ্গে কাঁচা হলুদ আর নিমপাথা থেঁতো করে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এবার ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এতে মুখ ঠান্ডা থাকবে আর জ্বালাপোড়া ভাবও কমে যাবে অনেকটা।