কলকাতা: হিন্দু শাস্ত্র গাছকেও দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয়। প্রতিটি গাছের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গুণ রয়েছে। আবার নির্দিষ্ট কিছু গাছ নবগ্রহের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বৃক্ষ রোপণ ও তার পুজো করলে সংশ্লিষ্ট গ্রহের দুষ্প্রভাব কম করা যেতে পারে। এমনই দুটি গাছ আছে, যা সরাসরি শনি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। নিয়মিত এই গাছের পুজো করলে শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার এই গাছের পুজো করলে পরিবারে সুখ-শান্তির আগমন ঘটে। যে দুটি গাছ শনির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তা হল শমী ও অশ্বত্থ। এই দুই গাছ রোপণ ও পুজো করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
অশ্বত্থ- শনির ইষ্ট দেব কৃষ্ণের স্বরূপ মনে করা হয় অশ্বত্থ গাছকে। পীপ্পলাদ মুনির নামে এই গাছের নাম করণ করা হয় পীপল, যার বাংলা নাম অশ্বত্থ। পীপ্পলাদ মুনিই শনিকে দণ্ডিত করেছিলেন। মনে করা হয় অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে শনির কারণে হয়ে থাকা কষ্ট শান্ত হয়ে যায়।
শনির দুষ্প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য অশ্বত্থ গাছের তলায় সর্ষের তেলের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা উচিত। এ ছাড়াও শনির কারণে সন্তান লাভ ও সমৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি হসে একাধিক অশ্বত্থ গাছ রোপণ করা উচিত। এর ফলে শনির বক্র দৃষ্টির দুষ্প্রভাব কমে যায়।
আরও পড়ুন: সকালে হাঁটার পর মানুন এই নিয়মগুলো, ঝড়ঝড়িয়ে কমবে মেদ
শমী- শমী গাছ যে কোনও পরিস্থিতিতে সতেজ ও জীবিত থাকতে পারে। অত্যন্ত শুষ্ক পরিস্থিতিতেও এই গাছের কোনও ক্ষতি হয় না। আবার এর মধ্যে ছোট ছোট কাঁটা থাকে। কঠোর গুণ ও শান্ত স্বভাবের কারণে এই গাছ শনির প্রিয় হয়ে উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যাবেলা শমী গাছের তলায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে শনির দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কোষ্ঠীতে শনি মারক পরিস্থিতিতে থাকলে শনি কাঠে তিল দিয়ে হোম করুন। সাড়েসাতি ও আড়াইয়ের প্রভাব কম করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে শমী গাছ।
