মাথা উপর সূর্ষের চোখ রাঙানি, সারা দিনের কর্মব্যস্ততা, শহরের যানজট থেকে কিছু দিুনের স্বস্তি পেতে চান। তাহলে নিজেকে আর চার দেওয়ালের মধ্য আর আবদ্ধ না করে ব্যাগ গুছিয়ে পাড়ি দিন উত্তরবঙ্গে। সপ্তাহের শেষে নিজের প্রিয়জন হোক কিংবা বন্ধুদের নিয়ে উপভোগ করুন মালদিরামের (Maldiram) নৈসর্গিক শোভা। যারা পাহাড়ের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ ভালো বাসে তাদের জন্য এটা আদর্শ স্থান। যে দিকে তাকাবেন সবুজের সমারহ আপনাকে মুগ্ধ করবে।
কাশিয়াং (Kurseong)-এর অফবিট জায়গা গুলোর মধ্যে মালদিরাম বেশ জনপ্রিয়। শিলিগুড়ি থেকে মালদিরামের দূরত্ব ৭০ কিমি, আর দার্জিলিং থেকে ২৮ কিমির দূরত্ব। কাশিয়াং-এর সিটংএর কাছে রয়েছে মালদিরাম। এই অঞ্চলটি চারিদিকে সবুজ চা বাগান দিয়ে ঘেরা। এখানে দেখতে পাবেন কমলালেবুর গাছও। বছরের যে কোনও সময়ই বাগোরা গ্রামে যেতে পারেন। কার্শিয়াং (Karshiang) থেকে খুব কাছে শান্ত নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রাম।
লেপচা অধ্যুষিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম মালদিরাম। মেঘ এবং কুয়াশায় ঘেরা এই গ্রাম। স্থানীয়দের কাছে এটি হাওয়াদারা নামে পরিচিত।
মালদিরামের অন্যতম আকর্ষণ চা বাগান। শুধু চা বাগান নয় দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchenjunga) নৈসর্গিক দৃশ্যও। যেহেতু সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে ৬০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রাম, তাই এপ্রিল বেড়াতে গেলে গরম পাবেন না এখানে। মালদিরাম ভিউ পয়েন্টে থেকে দেখতে পাব নেপালের কাঁকরভিটা, মেচি নদী, ডুয়ার্সের লিস আর স্তিতা। আর যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে, তাহলে সূর্যোদয়ের পাশাপাশি দেখা মেলে কোকতাং, কুম্ভকর্ণ, কাবরু, পান্ডিম সহ সিকিম ও ভূটানের বেশ কিছু অংশ।
আরও পড়ুন:Heatwave Alert | পশ্চিমবঙ্গ সহ ৯ রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি
এখান থেকে বেশ কাছে মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি। দার্জিলিং এর মধ্যে সেরা জায়গা। এখানকার নেপারি মানুষগুলোর খুবই সহজ সরল, পরিশ্রমী। অনায়েশে আপনার সঙ্গে মিশে যাবে। এইখানে চাবাগানের মাঝে একটা দুর্দান্ত থাকার জায়গা পাবেন। মালদিরাম থেকে বাগোড়া যেতে পারেন। এই যাওয়ার রাস্তা অন্যরকম, দুধারে ঘন জঙ্গল, মেঘ আসা যাওয়া করছে। পাইন গাছে সারি দুধারে, তো কখনো খুব স্বল্প জনবসতি উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যাবেন বাগোড়ায়।
কী ভাবে যাবেন
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং হয়ে পৌঁছে যেতে পারেন মালদিরাম। দার্জিলিং থেকে মালদিরাম মাত্র ২৮ কিলোমিটারের পথ। কাছেই রয়েছে কার্শিয়াং শহর। মাত্র ২০ কিলোমিটারের দূরত্ব।