ফের একবার ট্রেন্ডিং ডলফিন লুক। ডলফিন স্কিন পেতে কীভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন তা জানা আছে কি? যে কোনও লুকই হোক না কেন তা মনের মতো পেতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ত্বকের সঠিক পরিচর্যা। হাইড্রেশন ও এক্সফোলিয়েশনের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে যদি এই দুটো বিষয় একেবারে ঠিক থাকে তা হলে ডলফিন লুক পেতে কোনও সমস্যাই হবে না।কী কী করবেন জেনে নিন-
প্রথম ধাপ: এক্সফোলিয়েশন (exfoliation)
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন(exfoliation) করতে হবে শীতকাল বলে শর্টকাট নিলে চলবে না। আপনার ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাকৃতিক উপকরণ(natural ingredients) দিয়ে কিংবা বাজার থেকে কেনা সামগ্রী দিয়ে এক্সফোলিয়েশন সারতে পারেন। ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করতে কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশনের (chemical exfoliation) ক্ষেত্রে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড(alpha hydroxy acid) বা এএইচএ(AHA) কিংবা বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড(beta hydroxy acid) বিএইচএ(BHA) ব্যবহার করতে পারেন। এটা ত্বকের মৃত কোষ ভালভাবে সরিয়ে নীচ থাকা কোষগুলোকে ওপরে নিয়ে আসে এর ফলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়ে যায়।
দ্বিতীয় ধাপ: ক্লেনজিার(cleanser) ব্যবহার না করলেই নয়
ত্বকের মৃত কোষ সরানো যেমন অত্যন্ত আবশ্যক ততটাই প্রয়োজনীয় মৃত কোষ সরে গেলে ত্বকের ভিতরের স্তরে গিয়ে পরিষ্কার করা। তাই পার্ফেক্ট ক্লেন্জার বাছতে হবে। কেনার সময় দেখ নিতে হবে এক্সফোলিয়েশনের কারনে ত্বকের যে আর্দ্রতা নষ্ট হয়েছে ক্লেনজারের ব্যবহারে যেন নতুন করে আর আদ্রতা নষ্ট না হয়। বরং ত্বক পরিষ্কার করে ত্বকের হারানো আর্দ্রতা যাতে ক্লেনজার ফিরিয়ে দেয় এমন প্রসাধনী বাছুন।
তৃতীয় ধাপ: সিরাম (face serum) লাগাতে ভুলবেন না
উপকরণ হিসেবে হায়ালিউরোনিক অ্যাসিড রয়েছে এমন ফেস সিরাম বাছুন। এটা ত্বকে ইনস্ট্যান্ট হাইড্রেশন দেওয়ার পাশাপাশি ত্বকের ভিতরে ময়শ্চারাইজার আটকে রাখবে।
চতুর্থ ধাপ: মনে করে ময়শ্চারাইজার (moisturiser) করুন নিয়মিত
নন ম্যাট ময়শ্চারাইজার (non-matte moisturiser) ব্যবহার করুন তা হলে ত্বকে আর্দ্রতা দীর্ঘস্থায়ী হবে। এতে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়বে না। এর ফলে ত্বকের পেলবত ও চকেচকে ভাব বজায় থাকবে।
পঞ্চম ধাপ(ইচ্ছানুসার): এসেনশিয়াল অয়েল(essential oils) ব্যবহার করতে পারেন
শীতকালে যতই ময়শ্চারাইজার লাগান বা ময়শ্চারাইজার যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করুন এই সময় দ্রুত আর্দ্রতা হারায় ত্বক। তাই প্রয়োজনে আপনার পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তবে হ্যাঁ, যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত বা ব্রণ প্রবন হয় তা হলে তেল ব্যবহার না করাই ভাল।
ষষ্ঠ ধাপ: এসপিএফ (SPF)
পরিচর্যায় শেষ ধাপ তবে অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিনের ব্যবহার। ত্বক ভাল রাখতে সানস্ক্রিন কতটা প্রয়োজনীয় তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সান প্রোটেশন ফ্যাক্টার (sun protection factor) বা এসপিএফ(SPF) ৫০হলে ভাল হয়।
(ছবি সৌ: Pinterest)