ডিসেম্বরের শেষ এসে গেলেও হাড়ে কাঁপুনি ধরাতে পারেনি উত্তুরে হাওয়া উলটে এমন অবস্থা যে দিনের বেলায় বেশি দৌড়োদৌড়ি করতে হলেই মাঝে মধ্যেই ঘাম ছুঁটছে। আর আবহাওয়ার এই তারতম্যে (shifts in temperature and weather pattern) যেমন সর্দি কাশি লেগে অসুস্থ হচ্ছেন বহু মানুষ তেমনি আবার ত্বক (skin woes due to weather pattern shifts) নিয়েও বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। উত্তুরে হাওয়ার তেমন দাপট না থাকলেও হারিয়ে যাচ্ছে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হচ্ছে ত্বকের জেল্লা। এই অবস্থায় বাজার থেকে নতুন নতুন নামী দামি ক্রিম না কিনে বরং বাড়ির নিত্যদিনের এই সব উপকরণ ব্যবহার করে ফিরিয়ে আনুন ত্বকের হারানো জেল্লা-
অ্যালোভেরা জেল (aloevera gel)
শীতকালে ঠান্ডা হাওয়া ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। আবার অন্যদিকে আবহাওয়ার তারতম্য হলেও ত্বকে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। এই অবস্থায় গ্লিসারিনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। মিনিট ১০ রেখে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটা নিয়মিত করছে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
নারকেল তেল (coconut oil)
নারকেল তেল মুখে লাগানোর কথা শুনে হয়ত নাক সিঁটকাবেন অনেকেই। তবে ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজার হিসেবে এর জুড়ি মেলা ভার। কারণ একদিকে যেমন এটা ত্বকে আদ্রতা জোগায় তেমন অন্য তেলের তুলনায় এটা হালকা হওয়ায় ত্বকের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়। নারকেল তেল আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন কোলাজেন বুস্ট করে। এর ফলে ত্বক টানটান হয়। নারকেল তেল সরাসরি মুখে মাখতে পারেন আবার প্রয়োজনে নারকেল তেলের সঙ্গে মধু বা গোলাপ জল মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। ত্বক ভাল থাকবে।
মুখে ঘি লাগাতে পারেন (can apply ghee)
ঘিয়ের উপকারিতার অভাব নেই। তবে মুখেও যে ঘি ব্যবহার করা এটা হয়ত জানেন না অনেকেই। জানলেও তেমন আমল দেন না। তবে এটা ঠিক বাড়িতে তৈরি ঘি রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়। ঘি ত্বক মোলায়েম ও হাইড্রেটেড রাখে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল দেখায়। হাতে কয়েক ফোঁটা ঘি নিয়ে মুখ আলতো হাতে মালিশ করতে পারেন। এতে ব্লাড সার্কুলেশন ভাল হয়। বেড়ে যায় ত্বকের জেল্লা।
গোলাপ জল (rose water)
ত্বক ভাল রাখতে গোলাপ জলের উপকারিতা সর্বজনবিদিত নতুন করে বলার কিছুই নেই। এটা একদিকে যেমন প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে তেমন আবার ফেসিয়াল টোনিংয়ের জন্যেও এটা বেশ কার্যকরী। এটা নিয়মিত মুখে লাগালে মুখে গোলাপের মতো আভা ফুটে উঠবে।