অল্পেই মেজাজ হারাচ্ছেন? ছোটো ছোটো কথায় রেগে যাচ্ছেন। রাগ একপ্রকারের আবেগ। কোনও ব্যক্তি মানসিক ভাবে অস্থির থাকলে এর বহিঃপ্রকাশ বার বার হয়। অনেক সময় একটানা দুশ্চিন্তার কারণে উদ্বেগ বাড়লে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ছোটো ছোটো কথায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। তবে রাগ মানেই যে সেটা নেতিবাচক তা নয়। অনেক ক্ষেত্রে রেগে যাওয়ার ফলে আমরা বিশেষ কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে আমরা তা বুঝতে পারি। কিন্তু এই আবেগ মাত্রা ছাড়ালে সমস্যা বাঁধে। রাগের মাথায় মেজাজ হারিয়ে যদি আমরা কোনও ভুল কাজ করি তখন বিষয়টি নিঃসন্দেহ নেতিবাচক হয়ে পড়ে। তাই রাগ হলে তা যেন মাত্রাতিরিক্ত বা ক্ষতিকারক না হয়ে পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রাগ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন জেনে নিন-
রাগের বহিঃপ্রকাশ সৃষ্টিশীল হোক
রাগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মনে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তাই রাগের বহিঃপ্রকাশ ভাল কিন্তু তা যেন নেতিবাচক না হয়। তাই কোনও কারণে প্রচন্ড রেগে গেল আপনি আপনার পছন্দের কাজটা করুন। যেই কাজটা করতে ভাল লাগে সেটা করুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই রাগ উধাও!
ডিপ ব্রিদিং প্রাক্টিস করুন
প্রচন্ড রেগে গেলে জোরে জোরে নিশ্বাস ভিতরে নিন এবং বাইরে ছাড়ুন। এই ভাবে কিছুক্ষণ করতে থাকলে দেখবেন মাথা অনেকটাই ঠান্ডা হয়েছে। স্নায়ুর চাপ কমে ‘রিল্যাক্সড ফিল’ হবে।
রাগের মাথায় খুব বুঝে শুনে কথা বলুন
এমনিতে আপনি খুব শান্ত, কিন্তু রেগে গেলই হুঁশ থাকে না। এক্ষেত্রে নিজেকে বদলান। মেজাজ হারিয়ে দুম করে কাউকে কিছু বলে ফেলবেন না। রাগের মাথায় এমন কিছু বলবেন না যে পরে আফসোস করতে হয়। এই অভ্যাস আপনার ব্যক্তিগত ও চাকুরী জীবন দুক্ষেত্রেই সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
রাগ হলে প্রাণায়ম বা শারীরিক কসরত করতে পারেন
শারীরিক কসরতের সময় আমাদের শরীরে এনডোরফিন নিঃসরণ করে। এনডোরফিনকে মন ভাল করার হরমোন বলা হয়। তাই রাগ হলে মেজাজ খারাপ না করে এক্সারসাইজ করুন শরীর ও মন দুই ভাল থাকবে। আর রাগ-ই হোক বা যে কোনও আবেগ তা নিয়ন্ত্রণহীন হলেই সমস্যা। এক্ষেত্রে প্রাণায়ম আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই সাহায্য করে। মন শান্ত করে আমাদের চিন্তা ভাবনা ইতিবাচক করে তোলে।
তবে এমনটাও হতে পারে যে এই কোনও কিছুতেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আপনি মানুষটা একেবারেই শান্ত কিন্তু রেগে গেলেই দিগবিদিগের জ্ঞান হারান। পরে রাগ কমলে ভুল বুঝে আক্ষেপ করেন। এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কাউনসেলার বা চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে প্রথমে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করুণ।