ওজন কমানোর কথা যত সহজে বলা যায়, তত সহজে যদি কমত তা হলে ভাল হতো। তাই ওজন কমানোর জন্য বিশেষ নিয়মাবলি প্রথম কয়েকদিন খুব উৎসাহ নিয়ে মেনে চলেন অনেকেই। তবে মাঝপথে গিয়ে উৎসাহ ও ধৈর্য্য হারান অনেকে। তখনই ছন্দপতন হয় নিয়ম মানার ক্ষেত্রে।কারণ, আমরা ওজন কমানোর কথা ভাবতে ভাবতে স্বাস্থ্যের কথা বেমালুম ভুলে যাই। ওজন কমালেই তো হবে না, সুস্থ্ও থাকতে হবে। তাই জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট কিংবা বাড়িতে শারীরিক কসরত, যেটাই করুন এই কটা বিষয় মেনে না চললে আশানুরূপ ফল পাবেন না। যেমন-
বেশি অ্যক্টিভ থাকতে হবে
অনেকেই টানা দুঘন্টা ওয়ার্ক আউট করার পর আর সারাদিন তেমন ভাবে কোনও কাজই করেন না। প্রথম প্রথম ক্লান্তির কারণে বা গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথার কারণে সাময়িক বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। তবে বাড়তি বিশ্রামের অভ্যাস হয়ে গেলে আপনাকে আলসেমি ঘিরে ধরবে। এতে ওজন সাময়িক ভাবে কমলেও দীর্ঘদিন তা ধরে রাখতে পারবেন না। তাই শরীর ফিট রাখতে ওয়ার্ক আউটের পাশাপাশি সকালে বা বিকেলে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটুন, যোগা বা মেডিটেশন করুন। যদি এগুলো কোনওটাই করতে আপনার সময় বা ইচ্ছে না হয়, তা হলে অন্তত বাড়ির বিভিন্ন কাজ করতে পারেন।
শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন
আমাদের শরীরে জলের প্রয়োজন আলাদা করে বলে দিতে হবে না। এটা আমাদের সকলের জানা। তাই অন্তত দিনে আড়াই লিটার জল খান। এবং ওয়ার্ক আউট করলে নিদেনপক্ষে ৩ লিটার জল খাওয়া ভাল।
প্রচুর ফল খান
ফল আপনার শরীরকে প্রচুর এনার্জি দেবে। তাই বেশি করে ফল খান। ওজন কমলে হতেই পারে আপনার এনার্জির লেভেল নীচে নেমে যেতে পারে। তাই ওজন কমানোর জন্য বিশেষ রুটিন মেনে কাজ করলে ফল খাওয়াটা তাতে যোগ করুন। প্রয়োজনে আপনি নিউট্রিশনিস্টের সঙ্গে কথা বলুন।
প্রাতরাশ অবশ্যই করবেন
অনেকের ধারণা সকালের খাবার না-খেলে মনে হয় ওজন কমানোর কাজ সহজ হবে।তাড়াতাড়ি ওজন কমবে। এই ধারণা একদমই ভুল। আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করুন বা না করুন প্রত্যেক ক্ষেত্রেই প্রাতরাশ এড়িয়ে চলা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যেস নয়। বরং স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খাওয়ার অভ্যেস করতে পারেন। হাল্কা কিছু খেতে চাইলে ওটস খেতে পারেন। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় এনার্জি বজায় থাকবে। শরীর ভাল থাকবে।
ছবি সৌজন্য: Pixabay