স্মার্ট গ্যাজেট যেমন আমাদের নিত্যদিনের কাজ অনেকটা সহজ করেছে, ঠিক তেমন আবার জটিল সব সমস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। ইদানীং অধিকাংশের দিন শুরু করেন স্মার্ট গ্যাজেটে দিয়ে আবার ঘুমোতে যাওয়ার আগেও আমাদের সঙ্গী এই স্মার্ট গ্যাজেট। সকালে চোখ খুলেই স্মার্টফোনে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ চেক করা, অফিসের মেলের জবাব দেওয়া কিংবা সোশাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড ঘোরা ফেরা।
কি বলছে গবেষণা?
এ বছরই এই নিয়ে আমেকরিকার স্ট্রোক অ্যাসোশিয়েশনের(American Stroke Association) স্ট্রোক জার্নালে(Stroke Journal) একটি গবেষণায় জানা গেছে, দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সামনে সময় কাটানো এবং আধুনিক জীবনযাপনের অভ্যাসের কারণে ৬০ বছরের নীচের প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে।বিশেষ করে তাদের তুলনায় যারা তুলনামূলক শারীরিক ভাবে বেশি সক্রিয়। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশনের(WSO) তথ্য অনুযায়ী প্রত্যেক চার জনের মধ্যে এক জন স্ট্রোকের সমস্যায় ভোগেন। ভারতে এই সমস্যা আরও কঠিন। দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী, নন কমিনিকেবিল নিউরোজিক্যাল ডিসঅর্ডারের সমস্যা প্রায় দ্বিগুন বেড়ে হয়েছে ৮.২ শতাংশ আর এর মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর ঘটনা।
সম্প্রতি, আমেরিকার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী স্ক্রিনের সামনে কাটানো প্রতি এক ঘন্টায় প্রায় ২২ মিনিটের আয়ু ক্ষয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকার ফলে স্ট্রোক, বিভিন্ন ধরনের হার্টের সমস্যা এবং ক্যানসারের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনের একটি গবেষণায় একই রকমের তথ্য উঠে এসেছে, জানা গেছে ল্যাপটপ, টিভি, স্মার্টফোনের স্ক্রিনের সামনে একটানা ২ ঘন্টা সময় কাটানোর ফলে স্ট্রোকের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে প্রায় ২০ শতাংশ। আর এই সব কিছুর জন্য করোনা অতিমারিকেই দায়ী করছেন চিকিত্সকরা। করোনা সংক্রমনের আতঙ্কেই পড়াশোনা কিংবা চাকরীর কারনে ছোট থেকে বড় সবাই এক প্রকার বাধ্য হচ্ছেন দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ বা ফোনের সামনে বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্ক্রিনের সামনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা কেন এত ক্ষতিকারক?
এই স্মার্ট গ্যাজেটের স্ক্রিন থেকে যে নীল আলোর বিচ্ছুরণ ঘটছে তার প্রভাবে মেলাটোনিন নামক একটি বিশেষ হরমোন নিঃসরণ কমে যাচ্ছে। এই হরমোন আমাদের ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার যে চক্র আছে তার সঙ্গে জড়িত। এই হরমোন নিঃসরণ কমে যাওয়ার কারণে ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার সময়ের ব্যাঘাত ঘটছে।
এর ফলে হাইপারটেনশন, হাই এলডিএল এবং ডায়বিটিসিরে সম্যসার সৃষ্টি হচ্ছে। এবং বেড়ে যাচ্ছে স্ট্রোকের প্রবণতাও।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই বেশ কয়েকটি বিষয় মেনে চলার উপদেশ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। যেমন-