শীতকাল মানেই মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে খুশকির সমস্যার সুত্রপাত। আর এখান থেকে মাথায় চুলকানি সহ চুল ঝরে পড়ার মত নানান সমস্যার সৃষ্টি। তাই সময় থাকতে এই সমস্যার সমাধান না করলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। মাথার খুশকি থেকে চোখের সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে। মাথা থেকে খুশকি চোখের পাতায় পড়লে চোখের জীবাণু সংক্রমণের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
খুশকির মোকাবিলা করতে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ডা গীতিকা মিত্তল গুপ্তা। খুশকির সমস্যার সমাধান করতে তিনি ছ’টি উপকরণের বিষয় জানিয়েছেন। সেগুলি কি কি জেনে নিন-
View this post on Instagram
সিসলোপাইরক্স (Ciclopirox)
এটি একটি অ্যান্টি ফাঙ্গাল এজেন্ট যা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড (Salicyclic Acid)
এটা এক ধরনের বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড যা মাথায় সিবাম জমতে দেয় না এর ফলে খুশকির মত সমস্যাও সৃষ্টি হয় না।
জিঙ্ক পাইরিথিয়ান (Zinc Pyrithione)
জিঙ্ক থেকে তৈরি হয় এই জিঙ্ক পাইরিথিয়ান এই রাসায়নিকের অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল কার্যকারিতা আছে। এর ব্যবহারে মাথায় ইস্ট সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে না। এর ফলে খুশকির মত সমস্যার সৃষ্টির হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
কিটোকোনাজোল (Ketoconazole)
এটি একটি অ্যান্টি ফাঙ্গাল এজেন্ট। যে কোনও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ সারাতে ও ফাঙ্গাস নষ্টা করলে এই কিটোকোনাজোল ভীষণ কার্যকরী।
কোল টার (Coal Tar)
এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা আছে এবং এটা চুলকানি কম করে। তবে এটা খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হবে যাতে মাথায়, চুলে কিংবা জামাকাপড়ে দাগ না হয়ে যায়।
আর্নিকা অয়েল (Arnica Oil)
এতে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে এবং এটা চুলকানি ও ইনফ্লেমেশন থেকে রক্ষা করে।
তবে এগুলোর মধ্যে কোনও একটা ব্যবহারের পরেও যদি সমস্যা থাকে তা হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।