কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়ায় শুষ্কতার ভাব। টান ধরছে ত্বকেও। শীতের রুক্ষ ও শুষ্ক হাওয়ার থেকে ত্বকের রক্ষ করতে ভীষণ কার্যকরী বিউটি অয়েল বা ফেসিয়াল অয়েল। আপনার ব্রণ কিংবা অ্যাকনেকে থাকলেও সমস্যা হবে না। আপনার ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন, ত্বকের পরিচর্যা, মশার কামড় বা জৌলুসহীন চুলের পরিচর্যা, ফেসিয়াল অয়েলের জবাব নেই! বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন প্রত্যেকটি ফেসিয়াল অয়েল এমনভাবে বানানো হয় যাতে শুধু ময়শ্চরাইজার হিসেবেই নয়, পরিচর্যার অন্যান্য অনেক বিষয় কাজে লাগতে পারে । সেক্ষেত্রে এই ফেসিয়াল অয়েল সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে। ত্বক বেশি শুষ্ক বা জৌলুসহীন হলে এই ফেসিয়াল অয়েলের সঙ্গে বাড়তি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বা ফ্যাটি অ্যাসিড যোগ করলে ভাল কাজ করে। আবার বেশ কিছু গন্ধহীন ফেসিয়াল অয়েল আছে যেগুলো ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফেরানোর থেকে শুরু করে দাগছোপ দূর করা, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলে। ফেসিয়াল অয়েলের সঠিক উপকার পেতে মেনে চলুন এই বিষয়গুলি। প্যাচ টেস্টের জন্য ২ থেকে ৩টে ফেসিয়্যাল অয়েল বেছে নিন। দেখুন আপনার ত্বকের সঙ্গে কোন ফেসিয়াল অয়েল ম্যাচ করছে।
আজকাল অনেকের মুখেই এই বিউটি অয়েলের বাহবা শুনতে পাবেন। তাই আর চিন্তা না করে ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলতে বাড়ি নিয়ে আসুন এই বিউটি অয়েল। এবং ত্বকের পরিচর্যায় ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন এই ভাবে–
১. সরাসরি প্রয়োগ করতে পারেন- ড্রপারের সাহায্যে ৩-৪ ফোঁটা ফেসিয়াল অয়েল হাতের তালুতে নিয়ে নিন। এ বারে এটা মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন। আলতো হাতে মুখে ও গলায় মালিশ করে নিন। এই ভাবে মালিশ করে এই বিশেষ তেল আপনার ত্বকের ভিতরে গিয়ে ত্বকের রক্ষা করবে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি ধরে রাখবে।
২. ময়শ্চারাইজারের সঙ্গে ফেসিয়াল অয়েল- নাইট ময়শ্চারাইজারের সঙ্গে ৩ ফোঁটা ফেসিয়াল অয়েল মেশান। ময়শ্চারাইজার ও তেল ভাল করে আঙুলের সাহায্যে মিশিয়ে নিন। হাতে ডলার ফলে এই মিশ্রণ হাল্কা গরম হলে মুখে লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে দেখবেন আপনার ত্বক আগের তুলনায় অনেক বেশি সুন্দর ও সতেজ।
৩. মেকআপের সঙ্গেও মিশিয়ে নিতে পারেন এই ফেসিয়াল অয়েল- ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ফেসিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। দেখবেন আপনার মুখ আরও উজ্জ্বল দেখাবে। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটেও ফেসিয়াল অয়েল লাগিয়ে নিন। আপনার ঠোঁটের রঙ আরও উজ্জ্বল দেখাবে।