কলকাতা: গরমকালে সানস্ক্রিনের (Sunscreen) ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। সানস্ক্রিনের ‘সান প্রিভেনটিভ ফ্যাক্টর’ বা এসপিএফ ( Use of sunscreen) আমাদের ত্বককে (Skin) সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এটি ত্বককে ট্যানিংয়ের হাত থেকেও রক্ষা করে ও আর্দ্রতা বজায় রাখে। তাই ত্বক ভালো রাখতে, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়, শরীরের খোলা অংশে সানস্ক্রিন লাগিয়ে বেরনো উচিত। কিন্তু সানস্ক্রিন ত্বককে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করলেও, অনেকেরই সানস্ক্রিন মাখলেই ত্বক ঘামতে শুরু করে। সানস্ক্রিনের ব্র্যান্ড পরিবর্তন করলেও খুব একটা সুফল মেলে না। তাহলে এই পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন? চলুন জেনে নিন-
১) সানস্ক্রিন কেনার সময় নির্দিষ্ট এসপিএফ কত তা দেখে নেবেন। অনেকেই মনে করেন, বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ট্যান রোধ করা যায়। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। সাধারণত, নির্দিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে তবেই এসপিএফ বাছা উচিত। আমাদের রাজ্যের সার্বিক যা তাপমাত্রা, তাতে এসপিএফ ৩০-৩৫ যথেষ্ট।
২) নিজের ত্বকের ধরন বুঝে তবেই সানস্ক্রিন কিনুন। ম্যাট থেকে শুরু করে জেল, স্প্রে, ভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন বাজারে পাওয়া যায়। আপনার ত্বক অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩) বাইরে বেরোনোর ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। এরপর ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে আপনার ত্বক ভাল থাকবে।
৪) যদি সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর তীব্র ঘাম হয় তাহলে সানস্ক্রিনে জল মিশিয়ে মাখুন। সানস্ক্রিনের সঙ্গে জলের সংমিশ্রণ সানস্ক্রিনের রাসায়নিকের ঘনত্বকে লঘু করে দেবে। উপরন্ত জল ত্বকের রোমকূপকে ঠান্ডা রাখবে। ফলে ঘাম কম হবে।
৫) সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে যদি ঘাম হয় তাহলে কখনও সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করবেন না। তার পরিবর্তে ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন, জেল সানস্ক্রিন কিংবা স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, বিশেষত তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিরা। এতে ত্বকও ভাল থাকবে এবং ঘাম হবে না।