মানুষের জীবনে ওষুধের (Medicines) ভূমিকা নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার নেই। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই প্রতি মাসে কিছু না কিছু ওষুধ কেনা হয়। এমন মানুষও আছেন, যাঁদের বেঁচে থাকাটা অনেকটাই নির্ভর করে ওষুধের উপর।যদি এই জীবনদায়ী ওষুধগুলিই নকল (fake medicines) হয়, তবে এটি আপনার জন্য মারাত্মকও হতে পারে। কিন্তু ওই সব ওষুধ জাল বা নকল কীভাবে বুঝবেন? চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নকল ওষুধ চিনে নেওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ওষুধের আকারের পরিবর্তন- বড়ি, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল জাতিয় ওষুধের ক্ষেত্রে ওষুধের কোথাও কোনও অংশ ভাঙা রয়েছে কিনা, স্বচ্ছ ক্যাপসুলের ভিতরে থাকা ওষুধের গুঁড়োর পরিমাণ আগের তুলনায় কম বা বেশি আছে কিনা, ওষুধের রঙে কোনও ফারাক আছে কিনা তা ভাল করে দেখে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও ওষুধের মোড়কের রং, আকার-আকৃতি, বানান ইত্যাদি সবই ভাল করে দেখে নিতে হবে। কোনও পরিবর্তন দেখা দিলে সতর্ক হোন এবং অবিলম্বে আপনার ডাক্তার বা ফার্মেসিতে পরীক্ষা করে দেখুন আপনার ওষুধ সত্যিই আসল কি না।
আরও পড়ুন:Haldia Tornedo | রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের মাঝেই হঠাৎ দেখা টর্নেডোর, আতঙ্ক শিল্প শহরে
ওষুধের নামের বানান ভুল- ওষুধের নামের বানান, প্রস্তুতকারক বা এটি তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানে ভুল থাকলে সহজেই ধরা যায় ওষুধটি নকল।
ওষুধের গুণমান- যদি আপনার ওষুধে ফাটল থাকে, বুদবুদ তৈরি হয়, স্ট্রিপ আলগা থাকে, তাহলে এই জাতীয় ওষুধ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এই ধরনের ওষুধ নকল হতে পারে।
প্যাকেজিং ত্রুটি- সিরাপ, টনিকের মতো বোতলজাত ওষুধের ক্ষেত্রে বোতলে সিল বা প্যাকেজিং-এ কোথাও কোনও গলদ (মোড়কের রং, আকার-আকৃতি, বানান ইত্যাদি সবই দেখে নিতে হবে) আছে কিনা, তা প্রথমেই ভাল করে দেখে নিতে হবে। কোনও রকম পার্থক্য বা সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লেই ওই ওষুধ বিক্রেতাকে ফিরিয়ে দিন।
কিউ আর কোড- ভারত সরকার নকল ওষুধ শনাক্তকরণের জন্য এমন একটি ব্যবস্থা তৈরির জন্য কাজ করছে, যার মাধ্যমে আসল এবং নকল ওষুধগুলি সহজেই শনাক্ত করা যায়। যে কোনও ওষুধের মোড়কের গায়ে তার ‘ইউনিক অথেন্টিকেশন কোড’ লেখা থাকে। ওষুধ কেনার পর সেটির সম্পর্কে মনে কোনও রকম সন্দেহ দানা বাঁধলে, ওষুধের ‘ইউনিক অথেন্টিকেশন কোড’ ৯৯০১০৯৯০১০ নম্বরে এসএমএস করুন। ওই ওষুধটি যেখানে তৈরি, সেখান থেকে আপনি একটি অথেনটিকেশন মেসেজ পেয়ে যাবেন।