কোভিডকালে এখন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক চোখের সাজ। সংক্রমণ এঁড়াতে যখন অর্ধেক মুখ মাস্কে ঢাকা তখন নজরকাড়তে রকমারী আই মেকআপ এমনকি ব্রাউ মেকআপের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকেই। তাই বিউটি ওয়ার্ল্ডে যেমন ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে নানা ধরনের আই মেকআপ তেমন আবার অতিরিক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার ও সঠিক যত্নের অভাবে চোখ ও ভুরুতে দেখা যাচ্ছে নানা রকমের সমস্যা। এগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি আবার বিরক্তির হল ভুরুর আসেপাসে এমনকি ভেতরেও ব্রণ বা ফুসকুড়ি। এর ফলে যতই সুন্দর করে ভুরু আচড়ানো হোক কিংবা নিয়ম করে ভুরুর লোম তোলা হোক আখেড়ে সব নষ্ট। যেমন সাজ নষ্ট হচ্ছে তেমন বাড়ছে যন্ত্রণাও।
এত পরিচর্যার পরেও কেন এই ব্রণ বা ফুঁসকুড়ি, কী জানাচ্ছেন ডার্মেটোলজিস্টরা(Dermatologist)? বিশেষজ্ঞদের মতে এই সাজ সজ্জার কারনেই ভুরুর এই ভোগান্তি। ভুরুর আকার ধরে রাখতে টুইজারে(tweezer) লোম তোলা কিংবা থ্রেডিং (threading) করা বা ওয়াক্সিংয়ের(waxing) কারনে ব্রণ বা ফুঁসকুড়ির(acne and pimples ) এই ব্রেকআউট(breakouts) দেখা যায়। কারণ টি জোনের (T zone)অয়েল গ্ল্যান্ডের পরিমান মুখের অন্যান্য অংশের থেকে অনেক বেশি। এছাড়াও রয়েছে এই কারনগুলি-
শুধু তো চোখ সাজালেই চলবে না। সঠিক আই মেকপআপের জন্য প্রয়োজন চোখের ভুরু সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা। এর জন্য আজকাল ব্রাউ জেলের ব্যবহার খুব বেড়েছে। এই ব্রাউ জেল(brow gel) ভুরুকে একেবারে টান টান রাখে। কিন্তু বার বার এই জেল ব্যবহারের ফলে ত্বকের রোমকূপের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে ফুঁসকুড়ি এমনকি ব্ল্যাক হেড পর্যন্ত হয়। অনেক ব্রাউ জেলে উপকরণ হিসেবে সিলিকন(silicone) থাকে। সিলিকন থেকেও অ্যাকনের সমস্যা দেখা দেয়।
চোখের মেকআপ ব্রাশ ভাল করে পরিষ্কার না করলে সেটা থেকেও ব্রন হতে পারে এবং তা চোখের আসেপাসে এবং ভুরুতে ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রেও মেকআপ ব্রাশে আগে থেকে লেগে থাকা মেকআপ ত্বকের লোমকূপের মুখ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ব্রণ ও ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয়।
এই সময় ব্রণর জায়গায় ভুলেও হাত দেবেন না। সাজার তাড়নায় আবার জোর করে আঙুল দিয়ে ফুঁসকুড়ি ফাটিয় ফেলবেন না এতে ব্রণ আরও বেড়ে যাবে এমনকি বাড়াবাড়ি হয়ে চোখের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
শীতকালে বেশি ক্রিমের ব্যবহারেও অনেক সময় ভুরুর আসে পাসে এই ব্রেকআউট দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ক্রিম মুখে ক্রিম মাখার পর গরম জলে তুলো ভিজিয়ে খালি ভুরুর জায়গাটা মুছে নিন।
(ছবি সৌ :Unsplash)