কলকাতা: ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার। সারাদিনের খাওয়া বলতে এইটুকুই বোঝায় না। প্রতিটি আহারের মাঝেই কিছুটা ব্যবধান থাকে। আর তখনই কিছু একটা খেতে ইচ্ছা করে। যেমন বিকেল হলেই মনটা তেলেভাজা- নোনতা খাবারের জন্য ছটফট করে। গরম গরম চায়ের (Tea) সঙ্গে যদি চপ, শিঙাড়া, ঝুরিভাজা, চানাচুর, ফুলুরি হয় তাহলে আর পায় কে! অনেকে আবার ফ্রোজেন নাগেট কিংবা চিকেন বলও খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই সব স্ন্যাকস (Snacks) খেতে গিয়েই গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলেন অনেকে। মারাত্মক ক্ষতি হয় শরীরের। কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মত একাধিক সমস্যা দেখা। তাই বলে তো আর স্ন্যাকস খাওয়া আটকে থাকবে না। তাই বাড়িতেই বানিয়ে নিন কিছু স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস। রইল রেসিপি-
ভুট্টার চাট- সুইট কর্ন এখন সারাবছরই বাজারে পাওয়া যায়। এই কর্ন যেমন খেতে ভাল তেমনই এর মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণও কম। ভুট্টা দানা প্রথমে ভাল করে সিদ্ধ করে নিন। এবার ওর মধ্যে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো, মাখন, নুন, শসাকুচি, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ভুট্টার সঙ্গে কয়েক দানা চিনেবাদামও মেশাতে পারেন। উপর থেকে লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। এটি যেমন খেতে ভাল তেমনি পুষ্টিকর। তবে এই মিশ্রণ কিন্তু দুধ চায়ের সঙ্গে খাবেন না। লিকার চা বা গ্রিন টি-এর সঙ্গে খান।
ছোলা- চায়ের সঙ্গে তেল ছাড়া শুকনো কড়াইতে ভাজা ছোলাও কিন্তু খেতে পারেন। এতে শরীর পায় পুষ্টি, প্রোটিন। সেই সঙ্গে ক্যালোরি একেবারেই থাকে না। একই ভাবে শুকনো কড়াইতে বাদামও ভেজে নিতে পারেন। এই ছোলা আর বাদাম একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ওর সঙ্গে পেঁয়াজের কুচি মিশিয়ে খান। সামান্য লেবুর রসও ছড়িয়ে দিতে পারেন।
ড্রাই ফ্রুটস- বিকেলের চায়ের সঙ্গে খুব ভাল হল ড্রাই ফ্রুটসও। আমন্ড, আখরোট, বাদাম একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। বাদামের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিন। সেই সঙ্গে নিয়মিত ড্রাই ফ্রুট খেতে পারলে কিন্তু ওজন কমবে।
অঙ্কুরিত মুগ- মুগ ভিজিয়ে রাখুন আগের রাতে। পরদিন তা জল ঝরিয়ে রেখে দিন। বিকেলের মধ্যে দেখবেন অঙ্কুর বেরিয়ে গিয়েছে। এবার সবুজ মুগের সঙ্গে লেবুর রস, পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি মিশিয়ে চাট বানিয়ে নিন। লিকার চা বা লেমন টি-এরসঙ্গে খেতেও কিন্তু ভাল লাগবে।
পাঁপড়ের চাট- পাঁপড় সেঁকে নিন। এবার পাঁপড়ের সঙ্গে টমেটো কুচি, লেবুর রস, পেঁয়াজ কুচি, শসা কুচি মিশিয়ে দিন। এই মিক্সচার খেতে যেমন ভাল লাগে তেমনই কিন্তু স্বাদেও অতুলনীয়। এই পাঁপড়ের চাটে ক্যালোরি বা কার্বোহাইড্রেট একেবারেই থাকে না। সেই সঙ্গে মুখরোচকও।