বর্ষাকালে মন ভিজলে ভাল, কিন্তু শরীর ভিজলেই ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাসের হানা ও সংক্রমণের ভয়। আবহাওয়ার হঠাৎ এই তারতম্যের হ্যাপা সামলাতে না সামালতেই জ্বর, সর্দি-কাশি অ্যালার্জির মতো সমস্যা ঘিরে ধরে আমাদের। এই সময় দিনে অন্তত একবার আদা দিয়ে দুধ চা-ই খান বা লিকার চা, কাজে দেয় দুটোই। ভেজা স্যাঁতেসেঁতে আবহাওয়ায় শরীর ও মন চনমনে করে তোলে এক কাপ গরম আদা চা। সঙ্গে বাড়িয়ে তোলে বর্ষাকালের বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণের প্রতিরোধ ক্ষমতা।
আদার রোগ নিরাময় ক্ষমতা
আদায় বিশেষ ধরনের একটি উপাদান রয়েছে৷ নাম জিঞ্জারল। এই প্রাকৃতিক তেলের কারণেই আদার এমন স্বাদ ও গন্ধ। এবং এর কারণেই আদার এই রোগ নিরাময়যোগ্যতা। এই জিঞ্জারলের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকারিতা রয়েছে।
গা বমি বা মর্নিং সিকনেসে কার্যকরী আদা
বিশেষ কোনও অসুস্থতার ক্ষেত্রে বা সার্জারির বা প্রেগনেন্সির কারণে গা বমি ভাব হলে আদা কাজে দেয়। মাত্র ১ থেকে ১.১৫ গ্রাম আদা এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে আদা
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বডি মাস ইনডেক্স ও ইনসুলিনের লেভেল কমাতে কার্যকর আদা। ইনসুলিন কমে যাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায় না।
অস্টিও আর্থারাইটিসের সমস্যায় কাজে আসে আদা
ইদানীং অস্টিও আর্থারাইটিসের সমস্যায় বেশ নাজেহল হতে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষকে। এই সমস্যায় কাজ দেয় আদা। বিশেষ করে হাঁটুর সমস্যায় আদা ভীষণ কার্যকরী।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আদা রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনে এবং টাইপ টু ডায়বিটিসের কারণে হার্টের যে সমস্যাগুলি হয় সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দীর্ঘদিনের হজম সংক্রান্ত সমস্যায় আদা উপকারী
হজমের দীর্ঘদিনের সমস্যা মানেই পেটে অস্বস্তি বা থেকে থেকে পেটে ব্যথা হওয়া। পেট পরিষ্কার না-হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে আদা খেলে আরাম পাওয়া যায়।
ঋতুস্রাবের সময় আদা খুবই কার্যকরী
এই সময়ে তলপেট বা কোমরের তীব্র যন্ত্রণা থেকে আরাম পেতে খুবই কাজে আসে আদা। বিশেষ করে, ঋতুস্রাব শুরুর আগেই যদি খাওয়া যায় তা হলে যন্ত্রণার হাত থেকে অনেকটাই রেহাই মেলে।
কোলেস্টেরল কমাতে আদা কার্যকরী
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে শুধু ব্যাড কোলেস্টেরলই নয় বরং শরীরের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও যথেষ্ট কার্যকরী আদা।
ক্যানসার ও আলঝাইমারের সমস্যায় কার্যকরী
আদার মূল উপাদান জিঞ্জারল ক্যানসার নিরাময়ে বেশ কার্যকরী। পাশাপাশি এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কার্যকারিতা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।