শ্যাম্পু করা মানেই মাথা ও চুল ভিজিয়ে শ্যাম্পু লাগিয়ে, ফেনা করে নিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে নেওয়া। শ্যাম্পু করার এই পদ্ধতি যেন এখন একটা প্রথার মত হয়ে গেছে। শ্যাম্পু করা মানে এই পদ্ধতি মেনেই করা হবে। অধিকাংশ মানুষ এতেই লাভ পাচ্ছেন। কিন্তু আবার একাংশ এমন আছেন যারা এখনও জৌলুসহীন, নিষ্প্রাণ চুলের বোঝা বয়ে চলেছেন। এই অবস্থা যদি আপনার হয় তা হলে রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং করে দেখতে পারেন।
রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং ঠিক কি?
খুবই সহজ ব্যাপার। শুধু যে পদ্ধতিতে এতদিন শ্যাম্পু করছিলেন তার ঠিক রিভার্স বা উল্টোটা করতে হবে। প্রথমে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন এবং পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এর ফলে কন্ডিশনারের কারনে মাথায় কোনও অবশেষ থাকলে তা শ্যাম্পুর ব্যবহারে ধুয়ে বেড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত কিংবা চুল পাতলা, তারা এই রিভার্স ওয়াশিংয়ের কারণে আপনার চুলের হারানো জেল্লা ফিরে পাবেন।
চুল ভাল রাখতে রিভার্স হেয়ার ওয়াশিংয়ের উপকারিতা
এই পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করার আগে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়। এর ফলে হেয়ার ফোলিকেলের মেরামতি করা যাবে। চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এবং চুলে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
এ ছাড়াও রিভার্স ওয়াশিংয়ের ফলে পাতলা, প্রাণহীন চুলকে সুন্দর, সতেজ ও ঘন করে তুলবে এই চুল ধোওয়ার পদ্ধতি।
পাশাপাশি চুলের ডগা শুষ্ক হয়ে রুক্ষ হয়ে যাওয়া কিংবা দুমুখো হয়ে যাওয়া আটকে দেবে এই রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং। সপ্তাহে অন্তত একবার এই পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করলে উপকার পাবেন।
চুলের স্বাস্থ্য বুঝে প্রয়োজনে বেশি করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিতে পারেন এবং চুল জল দিয়ে পুরোপুরি না ধুয়ে বরং সামান্য জল দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।
কারা রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন?
রুক্ষ, শুষ্ক প্রাণহীন চুল নিয়ে যারা সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা এই রিভার্স হেয়ার ওয়াশিং পদ্ধতি তে চুল ধুয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে যাঁদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত তাঁরা এই পদ্ধতিতে উপকার পাবেন। এই পদ্ধতিতে চুল কন্ডিশনিং করা হলে কন্ডিশনারের কারনে চুল ভারী হয়ে প্রাণহীন দেখায় না।
ছবি সৌজন্য: Pexels