বিবাহিত জীবন যদি সুখের না হয় তা হলে দু’জনের ক্ষেত্রেই বোঝা হয়ে দাড়ায় দাম্পত্য। তাই সংসারে যাতে সুখ ও শান্তিু বজায় থাকে এবং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আরও মধুর ও দৃঢ় হয় তার জন্য বাস্তুশাস্ত্রে রয়েছ বেশ কিছু নিয়ম। বাড়র অন্দরসজ্জায় কীভাবে সেই সব জিনিস যোগ করলে মনের মতো হবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক দেখে নিন-
বেডরুমে আয়না না রাখাই ভাল। তবে যদি থাকে তাহলে তা যেন বিছানার মুখোমুখি না হয়। ঘুমোনোর সময় স্বামী-স্ত্রীর প্রতিবিম্ব যাতে না দেখা যায় সেই ব্যবস্থা করুন। যদি আয়না বিছানার মুখোমুখি হয় এবং ঘরের অন্য কোনো দিকে সরিয়ে রাখা সম্ভব না হয় তা হলে অন্তত ঘুমোনোর সময় আয়না কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন।
বেডরুমে ভুলেও মন্দিরের ব্যবস্থা বা ঠাকুর রাখবেন না। অনেকেই, বিশেষ করে ফ্ল্যাটে জায়গা ছোট হওয়ায় বেডরুমে ঠাকুর রাখেন ঠিকই। তবে এটা একদমই রাখবেন না। বিবাহিত জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
যদি বেডরুম দক্ষিণ- পশ্চিম দিকে হয় তা হলে ঘরের দেওয়ালে গোলাপি কিংবা পিচ রঙ লাগান। তা ছাড়া এমনিতে বেডরুমের জন্য গোলাপি রঙ একেবারে পার্ফেক্ট এবং বাস্তু মতে খুবই শুভ।
বেডরুমে স্বামী-স্ত্রীর ছবি রাখতে চাইলে সব সময় ঘরের দক্ষিণ- পশ্চিম দিকে ছবি রাখুন বা দেওয়ালে টাঙান। স্বামী-স্ত্রীর এই দিকে ছবি থাকলে তা পারস্পরিক বোঝপড়া আরও ভাল করে। দাম্পত্য সুখের হয়।
সম্পর্ক মধুর করতে ও একে অপরের প্রতি ভালবাসা ও সম্মান বজায় রাখতে বেডরুমের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে গোলাপি রঙের মোমবাতি ও রোজ কোয়ার্টজ রাখুন। প্রত্যেক দিন অন্তত দশ মিনিটের জন্য মোবাতি জ্বালিয়ে রাখুন। সারা দিনের ক্লান্তির শেষে এই আলো যেমন মমোরম তেমন আবার বেশ রোম্যান্টিকও বটে।
এক সঙ্গে জুড়ে দুটো খাট কিংবা বিছানায় শক্ত গদি রাখবেন না। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হতে পারে। ঝামেলা হতে পারে। এ ছাড়া বেডরুমের দরজার মুখোমুখি খাট রাখবেন না ভুলেও।
