কলকাতা: চুলের (Hair) সমস্যায় আমরা অনেকেই জেরবার। আর বর্ষাকাল তো সেই সমস্যা আর বেড়ে যায়। মাথায় চিরুনি দিলেই মুঠো মুঠো চুল উঠছে। চুল ‘হাইগ্রস্কপিক’ নেচারের, তাই বর্ষায় বাতাসের আর্দ্রতা শুষে নিয়ে নেতিয়ে পড়ে। ফলে বাজে গন্ধ, নানান সংক্রমণ, স্ক্যাল্পে লাল দানার মতো র্যাশ, খুশকি। সব মিলিয়ে চুল ওঠার চূড়ান্ত সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। তাই এই সময়ে চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া আবশ্যক। কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করতে পারেন চুল পড়ার সমস্যাকে প্রতিরোধ করার জন্য।
আমলকির রস- আমলকির রসের মধ্যে ট্যানিন ও ক্যালশিয়াম উভয়ই রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনার শুধু প্রয়োজন তাজা আমলকির রস। আমলকির রস সরাসরি স্ক্যাল্পে লাগান এবং ৩০ মিনিটের জন্য ওভাবেই রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সেরা ফলাফল পেতে সপ্তাহে দু’বার এই পদ্ধতি মেনে চলুন।
পেঁয়াজের রস- পেঁয়াজের রসের মধ্যে একটু বেশি পরিমাণে সালফার রয়েছে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস চুলের ফলিকলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এখান থেকে প্রতিরোধ হয় চুল পড়া। আধ কাপ পেঁয়াজের রস নিন এবং তুলোর বলের সাহায্যে স্ক্যাল্পে লাগান। ১ ঘণ্টা রাখার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে দু’বার মেনে চলুন। দেখবেন চুল পড়া আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
মেথির হেয়ার মাস্ক- মেথির দানার মধ্যে প্রোটিন ও নিকোটিনিক অ্যাসিড রয়েছে যা চুল পড়া প্রতিরোধ করে এবং খুশকির সমস্যাকে দূর করে। আধ কাপ মেথি দানা আগের দিন রাত থেকে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই ভেজানো মেথি দানা মিক্সিতে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্ক্যাল্পে লাগান এবং ১ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। এরপর সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।
নারকেল তেল- বর্ষার দিনে চুল ও স্ক্যাল্পে নারকেল দিয়ে মালিশ করুন। এটি চুলের ক্ষয়কে প্রতিরোধ করবে এবং চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন নারকেল তেল ব্যবহার করুন। এতেই চুল পড়া কমে যাবে ধীরে ধীরে।
গ্রিন টি- গ্রিন টি-এর মধ্যে ক্যাটেচিন রয়েছে যা চুল পড়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি চুলের শুষ্কতা ও খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করে করে। তবে এর জন্য গ্রিন টি আপনাকে পান করতে হবে। আপনি সাধারণ গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করে চা বানিয়ে নিন। এরপর ওই চা পান করুন। এতেই উপকার পাবেন।