কোভিড অতিমারি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে করতে এই দুশ্চিন্তা অনেকের অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। আজকাল অনেকেই সামান্য কারণে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের মতো সমস্যায় ভোগেন। এই পরিস্থিতি থেকে বেড়িয়ে আসতে কেও ধুমপান বা মদ্যপান করেন, কেও আবার মুঠোফোনে মুখ গোজেন আবার কেও জাঙ্ক ফুড খেয়ে স্বস্তি পান। বলা বাহুল্য ক্ষণিকের এই সুখ আপনাকে আরও দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ প্রবণ করে তোলে। তাই মন খারাপে খেতে ইচ্ছে করলে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই যে সব সময় তা একেবারে তেল মশলা ছাড়া স্বাদহীন হবে তা কিন্তু নয়। মন ভাল করতে খেয়ে দেখুন এই ৭টি খাবার। উপকার পাবেন আবার শরীরও ভাল থাকবে।
চিন্তামু্ক্ত থাকতে বেরি খান
উদ্বেগে অধিকাংশের চিনির খাবার খেতে ইচ্ছে করে কিন্তু বেশি চিনি খেলে আপনাকে তাড়াতাড়ি ক্লান্ত করে দেবে। তাই মিষ্টি খাবার না খেয়ে বরং বেরি খান। এতে প্রচুর পরিমাণে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত ও দুশ্চিন্তগ্রস্ত কোষগুলিকে সারিয়ে তোলে। তাই প্রচুর পরিমানে নানা রকমের বেরি খান যেমন ব্লু বেরি, স্ট্রবেরি ও গুজবেরি খান আর চিন্তামুক্ত থাকুন।
মদ্যপানে নয় উদ্বেগ কমবে চা পানে
অনেকেই উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার থেকে ক্ষণিকের স্বস্তি পেতে মদ্যপান করেন কিংবা সফ্ট ড্রিংক্স বেছে নেন। কিন্তু লাভের লাভ তো কিছুই হয় না উল্টে লিভারের ওপর চাপ বাড়ে। তাই এর বদলে চা খাওয়া শুরু করুণ। বিশেষ করে হার্বাল টি যেমন ক্যামোমাইল, গ্রিন টি খেতে পারেন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্নায়ুকে চাপমুক্ত রাখে।
ডার্ক চকোলেট খেয়ে কমান দুশ্চিন্তা
স্নায়ুর চাপ কমানোর তুলনায় আমাদের শরীরের বেশি ক্ষতি করে চিনি। অন্যদিকে ডার্ক চকোলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিকর উপাদান যেগুলো দিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্নায়ুর চাপ কমায়। ফলে ডার্ক চকোলেট খেলে আরাম পাবেন।
উদ্বেগ কমাতে বাদাম খান
ড্রাই ফ্রুটস বিশেষ করে ব্রাজিলিয়ান নাট, ওয়ালনাট, ও আমন্ড খান। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই ম্যাগনেশিয়াম শরীরে থাকা নিউরোট্র্যান্সমিটার ঠিক রাখে ও মস্তিষ্কের কার্যকলাপে সাহায্য করে ।
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান
যে সব খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে সেই সব খাবার খান। যেমন কমলালেবু, পাতিলেবু, আঙুর খেতে পারেন। এই সব ফল ছাড়া খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন পালং শাক, বাঁধাকপি, লেটিউস ও পার্সলে। উদ্বেগ কমাতে এই সব খাবার খুব ভাল কাজ করে।
মাছ
সার্ডিন ও স্যামনের মতো মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় কমাতে এই মাছগুলো দারুন কাজ করে। এই উপাদানগুলি মস্তিষ্কের কগনেটিভ ফাংশন ও শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
ইয়গহার্ট
গ্রিক ইয়গহার্ট কিংবা দইয়ে প্রচুর পরিমানে প্রোবায়োটিক আছে। অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশনের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে প্রোবায়োটিক। তাই যদি এই প্রোবায়োটিকে যদি আপনার অ্যালার্জি না থাকে তা হলে অবশ্যই খান আরাম পাবেন।