স্বাদে বাজিমাত করলেও, স্বাস্থ্যের নিরিখে অপকার বলে বারবার কাঠগড়ায় দাড়াতে হয়েছে বাঙালীর শেষপাতের অন্যতম ডেজার্ট, মিষ্টি দইকে। তবে রসনায় বুঁদ বাঙালী কখনই পর করে দেয়নি মিষ্টি দইকে বরং চেষ্টা করা হয়েছে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুক্ষেত্রেই যাতে পাশে রাখা যায় মিষ্টি দই। তবে কোভিডের হানা ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলার হিড়িকে মিষ্টি দইয়ের একাধিপত্য নষ্ট করেছে টক দই। তবে আর না জনপ্রিয় নিউট্রিশনিস্ট নমামী অগ্রওয়াল জানাচ্ছেন অন্যান্য মিষ্টির আশক্তি কমাতে নাকি দারুণ কাজের এই মিষ্টি দই।
View this post on Instagram
অতিরিক্ত মিষ্টি এবং চিনি খাওয়া যে শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক তা নতুন করে বলার কিছুই নেই। তবে মিষ্টির মায়া কাটানো যে কি কঠিন একমাত্র তারাই জানে যারা তাদের মিষ্টির প্রতি লাগামহীন ভালভাসার ইতি টানার চেষ্টা করছেন। কোনও রকমে এক দুদিন মিষ্টির আশক্ত সংযত করলেও পরের দুদিন আরও বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেলন। ফলে লাভের লাভ কিছুই হয় না বরং মিষ্টি খাওয়া আরও বেড়ে যায়। যাদের মিষ্টি খাওয়া একেবারে মানা তাদের চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে তবে যারা কোনও শারীরিক সমস্যার ছাড়াই আগাম সতর্কতার পথে হাটছেন তারা মিষ্টির আশক্তি কমাতে খেয়ে দেখতে পারেন মিষ্টি দই। মন ও ভরবে আবার কোনও অনুষ্ঠানে বা উত্সবের দিনগুলি মিষ্টি ছাড়া ফিকে লাগবে না। স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুদিকেই সামাল দেওয়া যাবে।
নিউট্রিশনিস্ট নমামী অগ্রওয়ালের মতে প্রোবায়োটিক হিসেবে মিষ্টি দই দারুণ ভাল কাজ করে। তাঁর ইনস্টাগ্রামে মিষ্টি দইয়ের একটা ছবি শেয়ার করে নমামী জানিয়েছেন, সাধারণত দুধ ভাল করে ফুটিয়ে, ঘন হয়ে গেলে তাতে গুড় মিশিয়ে মিষ্টি করে সারা রাত ফার্মেন্ট করে তৈরি করা হয় মিষ্টি দই। এর ফলে এতে থাকা গাট ব্যাক্টেরিয়া শরীরের পক্ষে ভাল কাজ করে। পাশাপাশি মিষ্টি দই বাড়িতে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়। এর ফলে বাইরে থেকে ভ্যাজাল যুক্ত মিষ্টি না খেয়ে বরং বাড়িতেই মিষ্টি দই খেয়ে নেওয়া যায়। যে কোনও উত্সবের মরসুমেই মিষ্টি তৈরির প্রধান উপকরণগুলির ভেজালের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুন।