এই করোনাকালে সেই কবে থেকেই ঘরবন্দি কচিকাচারা! অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে অনলাইন গেমস, কার্টুন, পড়াশোনা-বিনোদন সবকিছু ওই মুঠোফোনের মুঠোয় বন্দি। মোবাইল ফোনের সঙ্গে এইভাবে সময় কাটাতে গিয়ে প্রভাব পড়ছে চোখে, ক্ষতি হচ্ছে মস্তিষ্ক বিকাশের, দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক সমস্যার। বড়দের মতো কথায় কথায় মেজাজ হারাচ্ছে তারাও। তাই চেষ্টা করুন অনলাইনে গেমসের বদলে বেকিং, কুকিং, বা ঘর সাজানোর মতো বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে তাদের ব্যাস্ত রাখতে। সন্তান দুরন্ত হলে রান্নাঘরের বদলে ঘর সাজানোর কাজে নিশ্চিন্তে ব্যস্ত রাখতে পারেন। এই যেমন ধরুন আমাদের প্রত্যেকর বাড়িতেই কত পুরনো ফটো ফ্রেম রয়েছে। বেশিরভাগই ওই গাঢ় বাদামি বা কালো রঙের ফ্রেমগুলি এখন মলিন হয়ে গেছে। এই ফটো ফ্রেমগুলো নতুন করে ফেলত বলুন বাড়ির কচিকাচাদের। শিখিয়ে দিন এই টিপসগুলো। পারলে ওদের সঙ্গে মিলে আপনিও লেগে পড়ুন এই কাজে।
ক্যান্ডেলস্টিক বা ক্যান্ডেল হোলডার ব্যবহার করুন
ক্যান্ডেলস্টিক বা ক্যান্ডেল হোলডার আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই রয়েছে। এগুলি নতুন করে রঙ করে নিন। বা ওঁদের রঙ করতে দিন। এক্ষেত্রে টেম্পেরা পেন্ট ব্যবহার করে গাঢ় ও উজ্জ্বল রঙে রাঙিয়ে দিন। বাচ্চাদের জন্য এগুলি সেফ। রঙ শুকিয়ে গেলে ফটো ফ্রেমে আঠা দিয়ে লাগিয়ে রাখুন। পুরনো বোরিং ফ্রেমের লুক দেখবেন একেবারে পাল্টে গেছে।
ফটো ফ্রেম সাজিয়ে তুলুন গ্লাস জেমস দিয়ে
গ্লাস জেমস দিয়ে ফটো ফ্রেম সাজিয়ে তোলা খুবই সহজ। আর এই কাজে বলা বাহুল্য কচিকাচারা খুবই আনন্দ পাবেন। এমনকি তারা এত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলবেন এই ফটো ফ্রেম যে আপনি নিজেও চমকে যাবেন। তা কীভাবে এই কাজ করলে ভাল হয়? প্রথমে এই গ্লাস জেমসগুলো আঠা দিয়ে ভালভাবে সাজিয়ে নিতে হবে ফটো ফ্রেম। তারপর এই ফ্রেমের ওপরে গাঢ় রঙের পছন্দের কোনও পেন্ট স্প্রে করুন। ব্যাস আপনার ঝা চকচকে ফটো ফ্রেম তৈরি।
ব্যবহার করতে পারেন আইসক্রিম পপসিকেলস
আইসক্রিম খাওয়া হয়ে গেলে, আইসক্রিমের কাঠি ফেলে দেবেন না। বরং জমিয়ে রাখুন। এগুলো আলাদা ভাবে বাজার থেকে কিনেও নিতে পারেন। এবার এইগুলো ভাল করে রঙ করে নিন বা পছন্দ মতো সাজিয়ে নিন। সাজানো হয়ে গেলে। ফটো ফ্রেমে লাগিয়ে ফেলুন। ব্যাস বোরিং ফটো ফ্রেম ভোল পাল্টে হয়ে উঠবে ডিজাইনার ফটো ফ্রেম।
ওয়াশি টেপস নিয়ে সাজিয়ে তুলুন ফটো ফ্রেম
নানা রঙ ও নানা ডিজাইনের ওয়াশি টেপ দিয়ে অতি সহজেই সাজিয়ে তুলতে পারেন পুরনো ফটো ফ্রেম। চাইলে ব্যবহার করতে পারেন একাধিক ওয়াশি টেপ।
প্রথম কয়েকদিন মোবাইলের নেশা থাকলেও দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই অনেকটাই বদলে যাবে তাদের ব্যবহার। খেলার ছলে এই ধরনের কাজগুলো নিয়ে বেশ মেতে উঠবে ওরা।