কোভিডকালে আতঙ্কের পরিবেশের একঘেয়েমি কাটাতে উত্সবের এই দিনগুলি যেন আজ আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক। জীবেনর অন্ধকারের মুহূর্তেগুলো মুছে আলোর রোশনাইয়ে গা ভাসালেও কোভিডবিধি ভুললে চলবে না একদমই। কারণ, রাজ্যে ফের উর্ধ্বমুখি কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা, তাই উত্সবের দিনগুলো উদযাপানের পাশাপাশি মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো। যেমন-
কোভিড বিধি মেনে মেলামেশা করুন
পুজোর ভীড় কিংবা জমায়েত এড়িয়ে চলুন। বড় কোনও পার্টির বদলে ছোটখাটো ফ্যামিলি গেট টুগেদারে অংশগ্রহন করুন। বাড়িতে বিশেষ কোনও আয়োজনে করলে জেনে নিন অংশগ্রহনকারী সকলেই ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই নিয়েছেন কিনা? এবং সকলের মুখেই যেন মাস্ক থাকে তা নিশ্চিত করুন। বাড়ির জানলা দরজা খোলা রাখুন। যাতে হাওয়া ভালভাবে খেলতে পারে। স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়াশের ব্যবহস্থা রাখুন। সবাই যেন কোভিড বিধি মেনে চলেন সেই দিকে নজর দিন।
বাজি-পটকা এড়িয়ে চলুন
প্রতিবছরই কালীপুজো ও দিপাবলীর পর এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স বা সূচক প্রভাবিত হয় ভীষণ ভাবে। আর যেখান কোভিডের মতে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমনে এমনি জেরবার হয়ে যাচ্ছে জীবনযাপন, সেই সময় বায়ু প্রদুষণ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে। পাশাপাশি শিশু, বৃদ্ধদের এবং পশুদের ক্ষেত্রেও বাজি পোড়ানোর কানবন্ধ করা আওয়াজ ক্ষতিকারক। তাই চেষ্টা করুন বাজি না পুড়িয়ে বরং প্রদীপ ও মোমবাতি জালান। বাড়ি রঙ্গোলি বা আলপনা দিয়ে সাজান।
পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র ব্যবহার করুন
মাটির তৈরি প্রদীপ ব্যবহার করুন। মোমবাতি ব্যবহার করুন। যথাসম্ভব বিদ্যুৎ-এর অপচয় করবেন না।
পুজোর খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখুন
পুজোর কটা দিন সত্যি রুটিন মাফিক চলতে কারও ভাল লাগে না। আর খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি আরও বেশি করে প্রযোজ্য। তা বলে পেটের খিদের বদলে চোখের খিদেকে বেশি আমল দিলে চলবে না।
বাড়ির বাইরে বেরোলে এই জিনিসগুলো মাথায় রাখুন –
সারাক্ষণ মাস্ক পড়ে থাকুন। সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পেপার সোপ রাখুন।
ভিড় এড়িয়ে চলুন এবং সঙ্গে একটা বাড়তি মাস্ক রাখুন। ব
ভিড়ে গেলে বাড়ি ফিরে ডিটারজেন্ট ও হালকা গরম জলে জামাকাপড় ধুয়ে নিন।
বাড়ি ফিরে স্নান করে নিন। এবং কোভিডের মত কোনও লক্ষণ দেখলে অবিলম্বে চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।