কলকাতা: সমুদ্র (Sea) সৈকতে ভ্রমণের মতো বিলাসিতা খুব কম জায়গাতেই পাওয়া যায়। আমরা সব সময় অল্প ছুটি কাটানোর সুযোগ পেলেই সমুদ্র ঘুরে আসতে চেয়ে থাকি। বাঙালির ভ্রমণ তালিকায় সব সময়ই প্রথমে থাকে পুরী। আর পুরী যাননি এমন মানুষ বোধয় নেই বললেই চলে। সময় পেলেই পুরীতে জগন্নাথ দর্শন করতে সকলেই যান। আর পুরী যাওয়া মানেই ঘোরার জায়গা বলতে অনেকেই জানেন জগন্নাথ মন্দির, নন্দন কানন, চিলকা, কোনারক বা জগন্নাথের মাসি ও পিসির বাড়ি। তবে এছাড়াও এমন কিছু জায়াগা আছে যা প্রায় অনেকের কাছেই অজানা।
বর্তমানে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘ব্লু ফ্ল্যাগ বিচ’ বা ‘গোল্ডেন বিচ’। ময়ূরের কণ্ঠের মতো নীল জল এবং মাখনের মতো সৈকতের বালি। পুরস্কারপ্রাপ্ত বালি শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েকের কাজের পাশাপাশি বালু শিল্প প্রদর্শনীও আয়োজন করা হয়। এই বিচকে গত বছর ‘ব্লু ফ্ল্যাগ ট্যাগ’ দেওয়া হয়েছিল। যদিও পুরীর এই সৈকতে ভিড় নেই। পর্যটকদের আনাগোনাও নেই। যত দূর চোখে পড়ে শুধুই সমুদ্র ছোঁয়া হলুদ বালির চর। তার উপরে ছড়ানো ছিটানো দু-এক খানা রোদ পোহানোর ডেক চেয়ার। সঙ্গে বাহারি ছাতা।
আরও পড়ুন: বিদেশি ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের
বালির তটে একটা কুটোও চোখে পড়ে না কোথাও। ঝকে ঝকে পরিচ্ছন্ন সৈকত। আপনি চাইলে এখানে স্নানও করতে পারেন। সেক্ষেত্রে টিকিট কাটতে হবে আপনাকে, যার মূল্য ৫০ টাকা। স্নানের পর পোশাক বদলানোরও আলাদা জায়গা রয়েছে। রয়েছে খাওয়ার জায়গাও। আর সমুদ্রের ধারে চেয়ারে বসারও খুব সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে এই বিচে।
পুরী থেকে জঙ্গলের মজা নিতে চাইলে সোজা চলে যান ‘চন্দকা ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ার’তে। এখানে রয়েছে জঙ্গল সাফারির দারুন ব্যবস্থা। ১ ঘণ্টার জন্য খরচ পড়ে ১ হাজার টাকা, আর ২ ঘণ্টায় ২ হাজার টাকা। বোটে করে ঘুরে নিতে পারেন চন্দকা ড্যামও। পুরী থেকে যেতে সময় লাগে ঘণ্টা দেড়েকের মতো।