মরশুমি সবজি দিয়ে তৈরি রকমারি পদ ও ফলমূল থেকে শুরু করে পিঠেপুলি, নলেন গুড়ের সন্দেশ, শীতকাল এলেই ভোজনরসিকদের পোয়া বারো! তবে এত কিছুর মধ্যেও যে জিনিসটা না খেলেই নয় সেটা হল পেয়ারা! এত ফলের মধ্যে পেয়ারা শুনে হয়ত অবার হবেন অনেকেই। তবে এই একা পেয়ারার এত গুন যে আর কোনও মরশুমি ফল থাকুক বা না থাকুর পেয়ারা থাকা চাই। কারন-
রক্তে শর্করার মাত্রা কম করে পেয়ারা
পেয়ারার গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম। তাই রক্তে শর্করার মাত্র কম রাখার পাশাপাশি কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও এলডিএল কোলেস্টেরলের স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখে। ২০১৬-র একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে আসে।
পুষ্টিতে ভরপুর পেয়ারা
কমলালেবুর থেকেও বেশি ভিটামিন সি(vitamin C) রয়েছে পেয়ারায়। এছাড়া পেয়ারায় প্রচুর পরিমানে অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান(nutrients) রয়েছে। এর ফলে গাট হেলথের(gut health) পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ(immunity) ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং তা দীর্ঘ সময় ধরে বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন(iron), ক্যালসিয়াম(calcium) ও ফসফরাস(phosphorous)।
পেয়ারায় প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে
পেয়ারায় ফাইবার(fibre) থাকায় এটা একদিকে যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে তেমনই আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের (constipation)সমস্যাকে দূরে রাখে। শীতকালে, অত্যন্ত ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন।
প্রস্ট্রেট ক্যানসারে (prostrate cancer) উপকারী পেয়ারা
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমানে লাইকোপিন(lycopene) নামে একটি বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট(antioxidant) রয়েছে। টমেটো(tomato) ও তরমুজে(watermelon) লাইকোপিন(lycopene) থাকলেও তা পরিমানে পেয়ারার তুলনায় কম। এই লাইকোপিন শরীরে ভিতরে সার্কুলেশন(circulation) বাড়িয়ে তোলে এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা(boost brain function) বৃদ্ধি পায়।
তবে ঠান্ডা লাগলে কিংবা খুব বেশি সর্দি কাশি হলে পাকা পেয়ারা একেবারেই থাবেন না। অন্যদিকে আবার শ্লেষ্মা থাকলে কাঁচা পেয়ারা খেলে তা অনেকটাই কমে যায়।