শরীর সুস্থ রাখতে কিংবা রূপচর্চায় ঘরোয়া উপকরণের ব্যবহারে অন্তত কয়েকশো বার শুনেছেন অমুক উপকরণে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (antioxidants) আছে, তাই এটা ব্যবহার করা ভাল। কিন্তু এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট(antioxidants) শরীর তো বটেই ত্বক ও চুল ভাল রাখতে কেন এত প্রয়োজনীয় তা কি আপনাদের জানা আছে? এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের(antioxidant) কাজ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে(instagram) একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ডার্মোটোলজিস্ট ডাঃ গীতিকা মিত্তল গুপ্তা (Dermatologist Dr Gitika Mittal)।
View this post on Instagram
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ ঠিক কী?
যে সব খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (antioxidants) থাকে সেগুলি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে শুধু খাবার হিসেবেই নয়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বক ও চুল ভাল থাকে দুটোই। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তোলে, ও ফ্রি রেডিক্যাল (free radicals) থেকে ত্বকের রক্ষা করে। এ ছাড়াও আরও অনেক কাজ করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যেমন-
ত্বক সারিয়ে তোলে
সান এক্সপোজার বা শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আর্দ্রতা কমে গেলে ত্বকের লাবণ্য নষ্ট হয়ে জৌলুসহীন হয়ে পড়ে। এই সময় ভিটামিন সি(Vitamin C) ও ভিটামিন ই(Vitamin E) মুখে মাখলে ভাল কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (antioxidant) হিসেবে এই ভিটামিন সি-র জবাব নেই। ভিটামিন সি(Vitamin C) ত্বকের অন্যতম প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে।
ত্বকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে
নিত্যদিন যে পরিমাণে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ তাতে সূর্যের ক্ষতিকারক অতি বেগুনি রশ্মির থেকেও ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে। তাই এর হাত থকে ত্বকের রক্ষা করতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ক্রিম বা লোশন লাগালে ত্বক ভাল থাকবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। আর পরিবেশের ক্ষতিকারক উপাদানগুলি থেকে ত্বকের রক্ষা করে।
ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে
পরিবেশে যে সব ফ্রি রেডিক্যাল রয়েছে, তার মাত্রা যদি আমাদের শরীরে বৃদ্ধি পায় তা হলে শরীর ও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই যে সব খাবারে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেমন মাছের তেল, নানা রকমের জাম ও সিট্রিক ফল খেলে সুবিধে হবে। একইভাবে যে সব প্রসাধনীতে ভিটামিন এ,সি ও ই রয়েছে, সে-রকম প্রসাধনীর ব্যবহার ত্বকের দাগছোপের সমস্যা, বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া ও ঝুলে যাওয়ার চামড়ার মতো সমস্যাগুলি দূরে রাখে।
বেশি করে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে
কোলাজেন হল ত্বকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন। এক কথায় ত্বকের বিল্ডিং বল্ক বলা হয় এই কোলাজেনকে। এই কোলাজেন ত্বকের নমনীয়তা ও হাইড্রেশন বজায় রাখে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন সহজে নষ্ট হতে দেয় না এবং আপনার ত্বকের জৌলুস বজায় থাকে।