দৈনন্দিন জীবনের টানাপোড়েন কিংবা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের হাতছানিতে আজকাল মনোযোগ ও একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটে বহুবার। এর ফলে নিত্যদিনের কাজেও ব্যাঘাত ঘটে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে মেডিটেশন থেকে প্রাণায়ম কিংবা শরীরচর্চা করেন অনেকেই। প্রত্যেকদিনের কাজে মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়াতে এই সব কিছুর থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর ও সুষম আহার। তাই মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়াতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখলে উপকার পাবেন।
বিট (beetroot)
বিট দেখে ভক্তি হয় না অনেকের কিন্তু এই বিটে এত পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে যে শরীরের নানা সমস্যার সমাধানে দারুণ কার্যকরী এই বিট। সমানভাবে একাগ্রতা ও মনোযোগ বাড়াতেও বিট খুবই উপকারী। বিট হার্ট ভাল লাগে ও মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে মস্তিষ্ক কার্যক্ষমতাও বেড়ে যায়।
জল (water)
শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল কতটা উপকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল শরীর হাইড্রেট করে রাখে ও একাগ্রতা ও মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে। তাই নিয়মিত যদি ২ থেকে ৩ লিটার জল খাওয়া যায় তা হলে মস্তিষ্ক ভাল থাকে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বজায় থাকে।
পালংশাক(spinach)
পালংশাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদান ব্রেন সেল পুর্ননির্মাণ করতে ভীষণ উপকারী। পাশাপাশি এটা কগনেটিভ এবিলিটিও বজায় রাখে। তাই এমন কোনও কাজ যাতে মস্তিষ্কের ওপর জোর পড়ে সেই সব কাজ সুচারু রূপে মস্তিষ্ককে সাহায্য করে পালংশাক।
ওটমিল (oatmeal)
সকালে এক বাটি ওটমিল শুধু যে শরীরে শক্তির সঞ্চার করে তাই নয় বরং একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। মন শান্ত রাখে। একই সঙ্গে এতে ক্যালোরির পরিমাণে কম থাকায় শরীর হালকা ও ভাল রাখে। শরীর ভাল থাকলে মাথাও ভাল কাজ করে।
কলা (bananas)
কলা তো শুধু ফল নয় যেন পুষ্টির খনি। এই কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ। এই সব উপাদন শরীর চন মনে রাখতে অত্যন্ত আবশ্যক। তাই সময়ের অভাবে চটজলদি পুষ্টির ঘাটতি ঘটাতে কলা খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া কলায় প্রচুর পরিমাণে পোটেসিয়াম রয়েছে। মস্তিষ্কের কার্যকলাপে এই পোটেশিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।