স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ঘি খাওয়া উচিত না অনুচিত এই নিয়ে মতবিরোধ ছিল, আছে, আর হয়ত থাকবেও। তবে সাম্প্রতিককালে কোভিডের হাত ধরেই যেন ঘিয়ের ভাগ্য কিছুটা ফিরেছে। অতিমারির আতঙ্কে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছেন সবাই, তাতে ঘিয়ের জনপ্রিয়তা নতুন করে অনেকটাই বেড়েছে। আগে ফিটনেস ফ্রিকরা ধরেই নিতেন শরীর ঠিক রাখতে ঘিয়ের তৈরি খাবার খাওয়া চলবে না বা ঘি খেলেই ওজন বাড়বে। তবে এই ধারণা কতটা ভ্রান্ত তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে সোচ্চার হয়েছেন নিউট্রশনিস্ট, ডায়েটিশিয়ান ও আর্য়ুবেদ চিকিৎসকরা। তাঁদের ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োতে ঘিয়ের উপকারিতা নিয়ে জানানো হয়েছে বহু তথ্য। কিন্তু এখন সমস্যা অন্য জায়গা, ঘি খাওয়া ভাল, সে নয় বোঝা গেল। কিন্তু কতটা তা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই যাচ্ছে। তাই ঘি খাওয়ার সঠিক মাত্রা নিয়ে এ বার তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করছেন সেলিব্রেটি নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা দিবেকর।
খাবারে ঘি-এর পরিমাণ নিয়ে তাঁর জবাব, আমরা কী রকম খাবার খাচ্ছি তার ওপর নির্ভর করছে তাতে কতটা ঘি দেওয়া প্রয়োজন। যেমন ডাল আর ভাত খেলে যে পরিমাণ ঘি লাগে, মিলেট খেলে ঘি লাগবে আরেকটু বেশি। আসলে এ ব্যাপারটা অনেকটাই নির্ভর করছে রান্নার ধরন ও স্বাদ অনুসারে।
View this post on Instagram
তা হলে দিনে ঘি খাওয়ার সঠিক পরিমাণ কী-
ঘি- তে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন যেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভীষণ উপকারী । তাই দিনে অন্তত কোনও একটা আহারে সময় ঘি খাওয়া খেলে ভাল হয়। খাবারে বা রান্নায় ঘিয়ের গন্ধ বেরোবে যতটুকু ঘি দিলে ঠিক ততটা ব্যবহার করা উচিত। তবে অতিরিক্ত ঘি দিয়ে খাবারের গন্ধ নষ্ট করার কোনও মানেই হয় না। তা এই সব বিচার বিবেচনা করে নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা জানাচ্ছেন, অন্তত দিনে ৩ থকে ৬ চা চামচ ঘি খাওয়া ভাল। আরও ভাল হয় যদি সকাল, দুপুর ও রাতে ১ চা চামচ করে ভাগ করে নিয়ে খান। এতে একসঙ্গে অনেকটা ঘি খাওয়াও হবে না , মুখের স্বাদও ভাল থাকবে আবার ঘি-এর প্রয়োজনীয় উপাদানগুলিও শরীরে যাবে।