বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা (Buddha Purnima) বা বুদ্ধ জয়ন্তী (Buddha Jayanti)। বৌদ্ধ ধর্ম মতে, বৈশাখ (Baishakh) মাসের পূর্ণিমা (Purnima) তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। আবার এই পবিত্র তিথিতেই তিনি তাঁর সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন এবং পরবর্তীকালে এই দিনেই মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। তাই বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত।
বৈশাখী পূর্ণিমায় ভগবান গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন পালিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস, এই দিনেই গৌতম বুদ্ধ বোধগয়ায় বোধিবৃক্ষের নীচে জ্ঞান লাভ করেছিলেন। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীগণ এই দিনে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে ভগবান বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। ভক্তরা প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বোধগয়ায় আসেন। এ দিন বোধি বৃক্ষের পূজা করা হয়।
আরও পড়ুন: Basirhat Story | মুক্তমঞ্চের জন্য জমিদান, বসল পানীয় জলের কল
হিন্দুধর্ম এবং বৌদ্ধধর্ম সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল বুদ্ধ পূর্ণিমা। এটি ভগবান বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পালন করা হয় এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বার্ষিক উৎসব এটি। হিন্দু বর্ষপঞ্জী অনুসারে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের পূর্ণিমার দিন উদযাপিত হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা। এই বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা ৫ মে গোটা দেশে উদযাপিত হবে। ভগবান বুদ্ধই বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলেও মনে করা হয়।
আচার-অনুষ্ঠান
১) ভগবান বুদ্ধের ভক্তরা এদিন ভোরে উঠে পবিত্র স্নান সেরে তাঁর জন্মবার্ষিকী পালন শুরু করেন।
২) এদিন ঘর পরিষ্কার করা হয় এবং চারিদিকে গঙ্গা নদীর পবিত্র জল ছেটানো হয়। ফুল এবং পাতা দিয়ে বাড়ি সাজানো হয়।
৩) বাড়ির প্রবেশপথে হলুদ, রোলি এবং গঙ্গাজল দিয়ে স্বস্তিক চিণ্হ আঁকা হয়, যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত।