শীতের বিদায় বেলা আসন্ন, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা। এছাড়াও নিত্য জীবনযাপনে শরীরচর্চা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা কম বেশি সকলেরই জানা। তবে তা জানা সত্ত্বেও শরীরচর্চায় উত্সাহ পান না অনেকেই। অনেকের আবার নিত্য শরীরচর্চায় বাঁধা হয়ে দাড়ায় একঘেয়েমি। আপনার ক্ষেত্রে যদি এমনটা হয় তাহলে নিত্য শরীরচর্চার একঘেয়েমি কাটাতে করতে পারেন অ্যাক্রোযোগা।
সম্প্রতি এই অ্যাক্রোযোগার পথে হেঁটেছেন সোশাল মিডিয়ার জনপ্রিয় যোগা এক্সপার্ট সোনালী সেয়গল। কীভাবে নিত্যদিনের শরীরচর্চার একঘেয়েমি কাটিয়ে তা আকর্ষণীয় করে তোলা যায় সেই নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রায় প্রত্যেকদিনই তাঁর অ্যাক্রোযোগার নানা মুদ্রা এই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তাঁর এই নানা রকমের অ্যাক্রোযোগার মুদ্রা অনুপ্রাণিত করবে আপনাকেও।
View this post on Instagram
এই অ্যাক্রোযোগা কি?
নাম শুনে অনেকেই বুঝতে পেরেছেন এটা হল অ্যাক্রোব্যটিক্স ও যোগাসনের মিশেল। যোগাসনে যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয় যেমন যৌবন বজায় রাখার চেষ্টা, নিশ্বাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা, মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা, যোগাসন একাধারে যেমন শরীর শক্তিশালী করে তোলা তেমন শরীরের নমনীয়তা বজায় রাখে। এর পাশাপাশি অ্যাক্রোবেটিকের টেকনিক ও শরীর মন চাঙ্গা করে আরও শক্তিশালী করা। সবমিলিয়ে এই অ্যাক্রোযোগায় যেমন রয়েছে অ্যাক্রোবেটিক ও যোগাসনের মিশেল তেমন আবার রয়েছে থাই মাসাজ।
View this post on Instagram
কীভাবে করতে হয় এই অ্যাক্রোযোগা
সাধারণ যোগাসনের থেকে খানিকটা ভিন্ন এই অ্যাক্রোযোগার জন্য আপনার এক থেকে দু জন যোগাসন পার্টনারের প্রয়োজন। এই অ্যাক্রোযোগাতে একজন পার্টনার যে অপরজন মাটি থেকে যোগাসনের মাধ্যমে ওপরে তোলেন তাকে তাকে বেস বলা হয়। যে পার্টনারকে হাওয়ায় তোলা হয় তাকে বলা হয় ফ্লাইয়ার। আর তৃতীয় পার্টনার কে বলা হয় স্পোটটার। এই তৃতীয় পার্টনারের কাজ মূলত অ্যাক্রোযোগার সময় সুরক্ষা ও নিয়মাবলির দিকে নজর রাখা। তবে পার্টনার বা একটি গ্রুপ এই বিশেষ যোগাসনে অংশ নেওয়ার আগে সেশন শুরু হয় সোলো ওয়ার্ক দিয়ে। এই সময় নিজেদের শরীরিক ও মানসিক ক্ষমতা যাচাই করে নেন অংশগ্রহণকারীরা। এর ফলে পার্টনারকে হাওয়ায় তোলা কিংবা নিজে হাওয়ায় ওঠার জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত তা বুঝতে পারেন ,অংশগ্রহণকারীরা।
View this post on Instagram
অ্যাক্রোযোগার উপকারিতা
শারীরিক ভাবে আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে এই বিশেষ ধরনের যোগা।
দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ কমাতে ভীষণ কাজের এই অ্যাক্রোযোগা।
এই যোগাসন করতে প্রচুর পরিমানে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন। তাই নিয়মিত অ্যাক্রোযোগার মাধ্যমে আপনার ভেতরের শক্তির বিকাশ ঘটে এবং তা প্রস্ফুটিত হয়।
আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে অ্যাক্রোযোগা।
দেহ ও মনের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করে এর ফলে একাগ্রতা বাড়ে।