সদ্য মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন? এক রত্তির যত্ন-আত্তিতে কালঘাম ছুটলেও চুটিয়ে উপভোগ করছেন তার সানিধ্য। কষ্ট হোক ক্ষতি নেই কিন্তু যত্নে যেন কোনও খামতি না থাকে। সারাদিন এই নিয়েই ভেবে যাচ্ছেন। এদিকে নবজাতককে ঘিরে শেষ নেই বাড়ির বড়দের ও পরিবার-পরিজনের নানা নির্দেশ ও উপদেশ। কিুছ কিছু নিঃসন্দেহে কাজের কিন্তু এদের মধ্যেই এমন অনেক উপদেশ আছে যেগুলির বিজ্ঞানসম্মত কোনও ব্যাখা হয় না। নবজাতক ও মায়ের জন্য স্তন্যপান ঠিক কতটা গুরুত্ব তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভ্রান্ত ধারনা। যেমন
স্তন্যপান যন্ত্রণাদায়ক
সঠিক ভাবে স্তন্যপান করালে খুব বেশি ব্যাথা হওয়ার কথা নয়। তবে তীক্ষ্ণ ব্যাথা বা যন্ত্রণা হলে বুঝে নিতে হবে স্তন্যপানের সময় ভুল দেহভঙ্গির কারণেই এই সমস্যা হয়েছে। তাই স্তন্যপানের সময় শিশু কাছে নিয়ে সঠিক ভাবে ধরুন তাহলে সমস্যা হবে না। তবে ব্যাথা বাড়লে অবিলম্বে চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলুন, পরামর্শ নিন।
সাদামাঠা খাবার খেতে হবে
স্তন্যপান করালে মায়েদের খাওয়া দাওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার মানে এটা নয় যে একেবারে সাদামাঠা খাবার খেতে হবে। বরং সুষম আহারের বেশি প্রয়োজন। তবে আরও ভাল হয়ে লোকর কথায় কান না দিয়ে প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে কাজ করুন।
নবজাতকের জন্য ফর্মুলা কতটা ঠিক
নবজাতকের জন্য মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প হয় না। চিকিত্সকরাও তাই স্তন্যপানের বিষেয়ে জোর দেন। তবে প্রয়োজনে শিশুকে বেবি ফুড খাওয়াবেন কিনা এই সিদ্ধান্ত একমাত্র মা-রাই নিতে পারেন। তবে প্রথম মাতৃদুগ্ধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সময় বেড়াতে যাওয়া ঠিক নয়
বাড়ির বড়রা এই ব্যাপারে ভীষণ একগুয়ে। এই সময় ঘুরতে যাওয়া ভ্রমনে যাওয়া ঠিক নয়। নিঃসন্দেহ প্রেগন্যান্সির পর মায়ের আরামের প্রয়োজন। কিন্তু তাই বলে কাছে পীঠে কোথাও ঘুরতে যাওয়া উচিত নয় তেমনটা কিন্তু না। সময়ের সঙ্গে যুগ বদলেছে সদ্য মা হওয়াদের সন্তানের যত্নআত্তি নিয়ে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধে দিগুণ হয়েছে।
বছেরখানেক স্তন্যপান করালেই যথেষ্ট
অনেক মায়েদের উপদেশ দেওয়া হয় একবছর পর শিশুদের স্তন্যপান না করালেও চলবে। এটা কিন্তু ঠিক নয়। এর বিজ্ঞানসম্মত কোনও ব্যাখা নেই। উল্টে চিকিত্সকরা বরং দুবছর পর্যন্ত স্তন্যপানের কথা বলে। শিশু ও মা উভয়ের ক্ষেত্রেই এটা ভীষণ প্রয়োজনীয়।