সুন্দর, দাগছোপহীন, মসৃণ ত্বক পেতে কে না চায়। আর এই ইচ্ছেপূরণ করতে গিয়ে ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হয় অনেকেই। আর অধিকাংশই ইন্টারনেটের বিউটি হ্যাকস যাচাই না করেই ত্বকের ওপর ব্যবহার করে ফেলেন। আর এখানেই সব সমস্যার সূত্রপাত। ত্বকের লাভের বদলে ক্ষতি হয় বেশি। আপনিও কি এই দলের একজন? ইন্টারনেটের বিউটি হ্যাকসের ফাঁদে পা দেওয়ার আগেই জেনে নিন এগুলির সত্যতা। যেমন-
অত্যাধিক মেকআপের ব্যবহার
আজকাল ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে পা রাখলেই দেখা যাবে বিউটি ইনফ্লুয়েনসারদের একাধিক মেকআপ টেকনিক। আর সত্যি বলতে কী মেকওভারের মেকআপগুলো হয়ও বেশ নজরকাড়া। তবে এর ফাঁদে পা দিলেই বিপদ। খুব বেশি মেকআপ প্রোডাক্টের ব্যবহার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই অপকারী। ত্বক সাময়িক উজ্জ্বল দেখালেও আখেরে একটানা ব্যবহারে কমতে থাকে ত্বকের জেল্লা। ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। ,
অত্যাধিক স্ক্রাব করা
সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দু’বার স্ক্রাব যথেষ্ট। তবে উজ্জ্বল ত্বক কেউ কেউ আবার বার বার স্ক্রাব করেন। এর ফলে ত্বকের নিজস্ব যে তেল থাকে তা কমে যায়। এর ফলে ত্বক নিষ্প্রাণ দেখায়। তাই সপ্তাহে দু’বারের বেশি স্ক্রাব একদমই নয়।
আরও পড়ুন: জানেন কি রূপচর্চার এই জাদুকরী উপকরণের কথা?
বার বার ফেস ওয়াশের ব্যবহার
অনেকক্ষণ ধরে কিংবা দিনে বার বার মুখ ধোওয়ার অভ্যেস ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। কারণ এর ফলে ত্বক নিজস্ব তেল ও আর্দ্রতা হারায়। অনেকক্ষণ ধরে স্নান করলেও এই সমস্যা দেখা যায়। তাই দিনে অন্তত ৩ বারের বেশি মুখ ধোবেন না। আর শীতকালে ফেস ওয়াশের বদলে মাঝেমধ্যে ক্লেনজার ও ব্যবহার করতে পারেন। আর মুখ ধোওয়ার পর ত্বক ভাল লাগতে অবশ্যই ময়শ্চারাইজার লাগান।
বিউটি হ্যাকস
ত্বক ভাল রাখতে, ইন্টারনেট ঘেঁটে একের পর এক টোটকা ত্বকের ওপর পরীক্ষা নিরিক্ষা করা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কারণ অনেক সময় ভুল উপকরণের ব্যবহারে আপনার ত্বকের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
প্রসাধনী সামগ্রী
অনেকে এমন থাকেন যারা বাজারে নতুন কোনও প্রসাধনী এলেই ব্যবহার করার জন্য একেবারে আকুলিবিকুলি করেন। তবে এটা ঠিক অভ্যেস নয়। ত্বক ও প্রয়োজন অনুযায়ী প্রসাধনী সামগ্রী বাছা উচিত। ত্বক অনুযায়ী প্রসাধনী না বাছলে আখেরে যে ত্বকের বিপদ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বার বার প্রসাধনী বদলানোর প্রয়োজন নেই। আর একান্ত বদলানোর প্রোয়োজন হলে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিন।