ত্বকে যদি ব্লাইন্ড পিম্পল বাসা বাঁধে তাহলে সবার অলক্ষ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে সেই ত্বক। এর ফলে ত্বক সৌন্দর্য হারায় । সময় মতো ব্যবস্থা না নিলে অল্প সময়ের মধ্যেই একেবারে দ্বিগুণ হয়ে যায় ত্বকের এই সমস্যা। কী এই ব্লাইন্ড পিম্পেল আর কেনই বা এটা ত্বকের জন্য এত ক্ষতিকারক জেনে নিন।
ব্লাইন্ড পিম্পল কী
নাম শুনেই কিছুটা আন্দাজ করেই ফেলেছেন নিশচয়। এই পিম্পল বা ব্রণ সাধারণ ব্রণ বা ফুঁসকুড়ির মতো চোখে পড়ে না। সাধারণত এটা ত্বকের নিচের পরতে হয়। দূর থেকে দেখা যায় না। তবে ত্বকে হাত দিলে ব্যথা লাগলে বোঝা যায়। আর এই ব্লাইন্ড পিম্পল চট করে সারতেও চায়না। তাই ব্লাইন্ড পিম্পেল হলে জেনে নিন কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন-
ব্লাইন্ড পিম্পল সাধারণ পিম্পলের থেকে আলাদা। তাই এই ব্লাইন্ড পিম্পলে হাত দেবেন না বা টেপাটেপি করবেন না। তেমনটা করলে ত্বকে দাগ পড়ে যাবে কিন্তু ব্রণ সাড়বে না।
কী করবেন
এই ধরনের পিম্পল ঠিক করতে ব্রণর জায়গায় হট কমপ্রেস করুন। এটা খুবই কার্যকরী। এর জন্য সুতির পরিষ্কার কাপড় নিন এবং গরম জলে ভিজিয়ে ভাল করে নিঙড়ে নিন। এবার প্রথমে দেখে নিন এই গরমটা আপনার ত্বক নিতে পারছে কি না।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে। এই তেল কোনও ফেসিয়াল অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। আরাম পাবেন।
আরাম দিতে পারে বরফ
ব্লাইন্ড পিম্পলে যদি খুব বেশি ব্যথা হয় তা হলে এর থেকে রেহাই পেতে কোল্ড কম্প্রেস বা বরফের সেক দিতে পারেন।
স্টিম নিতে পারেন
ব্লাইন্ড পিম্পল থেকে রেহাই পেতে স্টিম নিতে পারেন। স্টিম নিলে ত্বকের যে ছোমকূপগুলো আছে তা খুলে যায়। এর ফলে এতে জমে থাকা ময়লা, ধুলোবালি বাইরে বেড়িয়ে আসে। তবে মাথায় রাখবেন কোনও মতেই ব্রণতে যেন হাত না লাগে।
কেন হয় ব্লাইন্ড পিম্পল
পরিবেশ দূষণের কারণে তো বটেই শরীরের ভিতরে বর্জ্য পদার্থ জমেও ব্লাইন্ড পিম্পলের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই সব সময় মুখ পরিষ্কার রাখুন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার মুখ পরিষ্কার করা উচিত। তবে মুখ পরিষ্কার করার পর ময়শ্চারাইজর করতে ভুলবেন না যেন।