কলকাতা: আজ বিশ্ব সঙ্গীত দিবস (World Music Da)। দিনটির বিশাল গুরুত্ব রয়েছে। গান এমন জিনিস, কাঁদাতেও পারে, হাসাতেও পারে, মন বিষমুক্ত করতে পারে। এককথায় থেরাপির কাজ করে। যদিও সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য আলাদা কোনও দিনক্ষণ হয় না। যে কোনও ঋতুতে, দিনে কিংবা রাতে তারা গান (Song) বাঁধতে পারেন। তবুও আরও রকমারি উদযাপনের জন্য প্রতিবছর ২১ জুন বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
সঙ্গীত দিবসের শুরুটা হয়েছিল ফ্রান্সে। সেখানে এই উৎসবের নাম ‘ফেট ডে লা মিউজক’। যার অর্থ বিশ্বজুড়ে সঙ্গীতের দিন। সঙ্গীতকে বিশেষ মর্যাদা দিতে ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রী মরিস ফ্লেউর বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উদযাপনের প্রস্তাব করেছিলেন। প্রস্তাবটি ১৯৮১ সালে পাশ হয়। পরবর্তীকালে ফ্রান্সের পরবর্তী সংস্কৃতি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং ১৯৮২ সালে বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের বার্ষিক উদযাপনের ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে ১৯৮৫ সালের ২১ জুন প্রথম গোটা ইউরোপ এবং পরে সারা বিশ্ব এই সঙ্গীত দিবস পালন করে। এরপর থেকে দিনটি বিশ্ব সঙ্গীত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর প্রথম থেকেই আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দিবসটি পালন করে আসছে।
বহু বছর ধরেই এই দিনে ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে ফ্রান্স। ১৯৮২ সালে বিশেষ এই সঙ্গীত উৎসবের দিনটি ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ‘গান হতে হবে মুক্ত; সংশয়হীন’- এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বিশ্বের ১১০টি দেশ যোগ দেয় এই আন্দোলনে। ১৯ বছরের পথপরিক্রমায় আন্তর্জাতিক মাত্রা পায় এটি। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, স্থানীয়ভাবে অথবা ফরাসি দূতাবাসের সহায়তায় জুনের ২১ জুন পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’।
আরও পড়ুন:Satyaprem Ki Katha | Sun Sajni | সজনী গো সজনী
বর্তমানে বিশেষজ্ঞরাও এই মিউজিক থেরাপিকে মান্যতা দিয়েছেন। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কমাতে গান উপকারী। গান শুনলে ঘুমও ভালো হয়। মানসিক রোগ সারানোর জন্য চিকিৎসকেরা গানের সাহায্য নেন। শুধু তাই নয়, অনের সময় এমন হয় যে পুরনো কোনও গান ভালো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। তবে শুধুই ভাল নয়, মনে করিয়ে দেয় খারাপ স্মৃতিও। কিন্তু গান সব সময়ই ভালো বন্ধুর মতো পাশে থাকতে পারে। এর পাশাপাশি, গান কিন্তু বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তিও শক্ত করে, মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।